• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

‘বিদেশ থেকে এসে টাকা না পেয়ে মা-মেয়েকে খুন করেন আলতাফ’


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৩, ০৯:৪৬ পিএম
‘বিদেশ থেকে এসে টাকা না পেয়ে মা-মেয়েকে খুন করেন আলতাফ’

ওমান প্রবাসী বন্ধু আলতাফ হোসেনকে চাহিদামতো টাকা না দেওয়ায় মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বুধবার (১৪ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সুধারাম মডেল থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

এর আগে, এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গুপ্তাংকের বার্লিংটন মোড় সংলগ্ন কচি মিয়ার বাসার দ্বিতীয় তলায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ঘাতক আলতাফ হোসেন (২৮) লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল মুনাফের বাড়ির মৃত আবুল কালামের ছেলে। তিনি ওমান প্রবাসী ছিলেন।

নিহতরা হলেন নোয়াখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফজলে আজিম কচি মিয়ার স্ত্রী নূর নাহার বেগম (৪০) ও তার মেয়ে হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ফাতেমা আজিম প্রিয়ন্তী (১৬)।  

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, আটক আলতাফ হোসেন একজন ওমান প্রবাসী। বিদেশ থাকাকালীন মোবাইলের রং নম্বরে নুরুন্নাহারের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিদেশে টাকা রোজগার করতে না পারায় নুরুন্নাহার তাকে দেশে আসার জন্য বলেন এবং ব্যবসার জন্য আড়াই-তিন লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

এদিকে আলতাফ হোসেন পরিবারের অগোচরে গত ৮ জুন দেশে আসেন এবং নুরুন্নাহারের সঙ্গে তার বাসায় এসে দেখা করেন। পরে নুরুন্নাহার তার বাসার নিচতলা ভাড়া নেওয়ার প্রস্তাব দেন। আলতাফ তাতে রাজি হলেও গত ৬ দিনে ব্যবসার জন্য কোনো টাকা না দেওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

পুলিশ সুপার জানান, বুধবার সকাল ১০টার দিকে নুরুন্নাহারের স্বামী ফজলে আজিম কচি ও ছেলে হৃদয়ের অনুপস্থিততে আলতাফ হোসেন বাজার থেকে একটি ছুরি কিনে ওই বাসায় যান। এ সময় পাশের রুমে মেয়ে প্রিয়ন্তী ঘুমিয়েছিলেন। পরে টাকার জন্য কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে নুরুন্নাহারকে ভয় দেখান আলতাফ।

এ সময় নুরুন্নাহার ভয়ে মেয়ের কক্ষে চলে গেলে সেখানে মা-মেয়েকে উপুর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন আলতাফ। এতে মা নুরুন্নাহার ঘটনাস্থলে মারা গেলেও মেয়ে প্রিয়ন্তী দৌড়ে নিচে চলে যায়। পরে আলতাফ বের হলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেন। প্রিয়ন্তীকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সেও মারা যায়।

মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আলতাফ হোসেন একাই এ খুন করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। পরিবারের দেওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) আদালতে সোপর্দ করা হবে।

Link copied!