• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৩, ০২:৪৯ পিএম
কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

ফরিদপুরে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে মিলন খান (৩২) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তাকে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনালের বিচারক মো. হফিজুর রহমান এ রায় দেন। এ সময় মিলন খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে ২০১১ সালের ২ অক্টোবর এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রায় এক যুগ পর এ রায় দিলেন আদালত। মিলন খান ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের দৈবকনন্দনপুর গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন আসামি মিলন। কিশোরী নাবালিকা হওয়ায় বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দিলে মিলন উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। ২০১১ সালের ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় ওই কিশোরী পুকুরে পানি আনতে গেলে মিলন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে অন্য জায়গায় নিয়ে যান। এ ঘটনায় বোয়ালমারী থানায় মিলন খানসহ চারজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন ওই কিশোরীর বাবা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আতিয়ার রহমান ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মিলনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

মিলনের মা চম্পা বেগম বলেন, “মিলনের সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা পালিয়ে বিয়ে করেছিল। কিশোরীর পরিবার বড়লোক হওয়ায় মামলা দিয়ে আমার ছেলেকে ফাঁসিয়েছে।”

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি স্বপন পাল বলেন, “এ রায়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সমাজে অপরাধপ্রবণতা কমে আসবে।”

Link copied!