হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন শুভ মহালয়া হয়ে গেছে বুধবার (৬ অক্টোবর)। এদিন থেকেই শুরু দেবীপক্ষের। আর দুদিন পরই ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজা শুরু। ১৫ অক্টোবর (শুক্রবার) বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে বিদায় নেবেন দেবী।
খুলনায় উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা পালনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে ব্যাপক প্রস্তুতি। গঠন করা হয়েছে নানা রকম কমিটি। প্রশাসনের সহযোগিতা ও নির্দেশনায় নিরাপত্তাসহ সব দিক মাথায় রেখে পূজার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন আয়োজকরা।
খুলনায় এ বছর ১০০৩টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৩২টি, দাকোপে ৮১টি, বটিয়াঘাটায় ১০৯টি, তেরখাদায় ১০৭টি, দিঘলিয়ায় ৫৯টি, রূপসায় ৭৫টি, ফুলতলায় ৩৩টি, ডুমুরিয়ায় ২০৪টি, কয়রায় ৫৪টি ও পাইকগাছায় ১৪৯টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
এরই মধ্যে এসব পূজা মণ্ডপের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। দু-একটি মণ্ডপে তুলির শেষ ছোঁয়া চলছে।
গত বছর করোনার কারণে সীমিত আয়োজন থাকায় এবার উৎসব নিয়ে একটা ভিন্নমাত্রা লক্ষ করা গেছে। প্রতিবছরের মতো এবারও নগরীর বড়বাজার, কালীবাড়ী, ধর্মসভা, শীতলাবাড়ী পূজামণ্ডপ পূজারিদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে তার সম্মেলনকক্ষে শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে এক প্রস্তুতি সভা হয়। এতে সব ধরনে নিরাপত্তা বিধান এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় জানানো হয়, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করতে হবে। প্রত্যেক পূজামণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোবাইল নম্বর ঝুলিয়ে রাখতে হবে। বিনোদনের জন্য মেলার আয়োজন করা যাবে না। আরতির সময় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নজর রাখতে হবে। প্রত্যেক পূজামণ্ডপের জন্য স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিমা বিসর্জন ও বিসর্জনকালে শোভাযাত্রা পরিহারসহ সব মণ্ডপে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ সামগ্রী রাখতে হবে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু সংবাদ প্রকাশকে জানান, গতবছরের মতো এবারও মণ্ডপগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সব কটি পূজামণ্ডপের কাজ প্রায় শেষের দিকে। দু-একটি মণ্ডপে তুলির শেষ ছোঁয়া চলছে। এছাড়া প্রতিটা মণ্ডপেই স্বেচ্ছাসেবক ও পূজামণ্ডপ এলাকার সিসি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনও সম্পূর্ণরূপে আমাদের সহযোগিতা করছেন। খুলনায় সব সময় সুন্দর পরিবেশে পূজা উদযাপন হয়। বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এই উৎসবে অংশ নেন। এবারও সুন্দর পরিবেশে উৎসব পালন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
                
              
																                  
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    




































