• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

কুড়িগ্রামে ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৩, ০৮:১৫ পিএম
কুড়িগ্রামে ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী

ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ সবগুলো নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে প্রায় শতাধিক চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুন খাওয়া পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার, ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার, পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৩৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। 

অন্যদিকে তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৮৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রায় দুই হাজার মানুষ, বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের এক হাজার এবং উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নে দুই হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে জেলার ৩৩৫ হেক্টর রোপা আমন ধান ও ৫০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।

রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, “তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে চর নাকেন্দা, গতিয়াশাম, খিতাবখাঁ, চর খিতাব খাঁ এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবারের দুই হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। পানি দীর্ঘদিন স্থায়ী হলে এসব চরাঞ্চলের বাসিন্দারা গবাদি পশুর খাদ্য সংকটে পড়তে পারে।”

উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, “কয়েকদিন থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীরবর্তী জুয়ান সতরা, চর নিয়াশা, চর গোড়াইপিয়ার প্রায় দুই হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এছাড়া তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী কুমারপাড়া এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।”

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করলেও তা বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সবগুলো নদ-নদীর পানি অনেকটা কমে আসবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ বলেন, “কুড়িগ্রামে উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার্তদের জন্য ১৮টি স্থায়ী ও ৩৬১টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যার্তদের জন্য ৩৮৭ মেট্রিকটন চাল, ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৩ হাজার ৭০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য বাবদ ২ লাখ এবং গোখাদ্য ক্রয় বাবদ পাঁচ লাখ টাকা মজুত রয়েছে।”

Link copied!