• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

কেসিসি নির্বাচনে নতুন ভোটার ৪২ হাজার ৪২৯ জন


খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৩, ০৬:২৪ পিএম
কেসিসি নির্বাচনে নতুন ভোটার ৪২ হাজার ৪২৯ জন

খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) নির্বাচনে এবার ভোটার বেড়েছে ৪২ হাজার ৪২৯ জন। ভোটকেন্দ্র না বাড়লেও বেড়েছে ভোটকক্ষের সংখ্যা।

খুলনা জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে খুলনায় ভোটার ছিল ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এবার মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৮ ও মহিলা ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৪ জন। পাঁচ বছরের ব্যবধানে ভোটার বেড়েছে মোট ৪২ হাজার ৪২৯ জন।

এবারের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ২৮৯টি আর ভোটকক্ষ ১ হাজার ৭৩২টি। গত নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ছিল ২৮৯টি এবং ভোটকক্ষ ছিল ১ হাজার ৫৬১টি। ফলে এবার ভোটকক্ষ বেড়েছে ১৭১টি।

এদিকে পাঁচ বছরের ব্যবধানে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৯টিতে ভোটার বাড়লেও কমেছে শিল্পাঞ্চল খালিশপুরের ৮ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। এর মধ্যে নগরীর ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ২০১৮ সালে ভোটার ছিল ৭ হাজার ১৯৫ জন। বর্তমানে ভোটার ৬ হাজার ৭২৬ জন। ভোটার কমেছে ৪৬৯ জন।

এছাড়া ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ২০১৮ সালে ভোটার ছিল ৯ হাজার ২৫০ জন। এবারের নির্বাচনে ভোটার ৮ হাজার ৬৮৯ জন। ভোটার কমেছে ৫৬১ জন। দুটি ওয়ার্ডে ভোটার কমেছে মোট ১ হাজার ৩০ জন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের জুলাই মাসে প্লাটিনাম, ক্রিসেন্ট, খালিশপুর ও দৌলতপুর জুট মিল বন্ধ হয়ে যায়। এ চারটি পাটকলের শ্রমিকদের বড় অংশের ছিল ৮ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। খালিশপুর শিল্পাঞ্চলের এই চারটি পাটকল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক শ্রমিক বরিশাল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপু, যশোর, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জেলায় তাদের গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। ফলে ভোটার তালিকায় তাদের নাম স্থানান্তর করা হয়েছে। যে কারণে এই দুটি ওয়ার্ডে কমেছে ভোটার সংখ্যা।

নগরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন ভোটার মো. রাকিব ইসলাম সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “এবারই আমি প্রথম ভোটার হয়েছি। ভোট দেওয়ার মাধ্যমে যোগ্য ব্যক্তিকেই নির্বাচিত করতে চাই। যার দ্বারা খুলনা নগরী একটি মডেল নগরীতে পরিণত হতে পারে। তাছাড়া এমন কাউন্সিলর চাই, যে আমাদের এলাকাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবে বিশেষ করে আমাদের খেলার মাঠের ব্যবস্থা করবে।”

১৪ নম্বর ওয়ার্ডের রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, “আমাদের নগরীর প্রধানত সমস্যা ময়লা আবর্জনা। তাছাড়া খেলার মাঠ থাকলেও তা খেলার উপযুক্ত না। আমরা এমন কাউন্সিলর ও মেয়র চাই যে আমাদের দূষণমুক্ত ও উপযুক্ত খেলার মাঠ উপহার দিবেন যাতে স্বাস্থ্য ও মন দুটোই ভালো থাকে।”

নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার রুমপা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আমার জানামতে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে অংশগ্রহণ করেছেন মোট ৯ জনের মতো। তবে এমন একজনকে কাউন্সিলর হিসেবে দেখতে চাই, যার দ্বারা কারও উপকার হোক বা না হোক কারও ক্ষতি না হয়।”

এদিকে মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকেল পর্যন্ত ৫ মেয়র প্রার্থীসহ ১৫৮ জন খুলনা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাওলানা আবদুল আওয়াল, এস এম শফিকুর রহমান, জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু ও আগুয়ান ৭১ মনোনীত প্রার্থী মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী।

জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও কেসিসি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারাজী বেনজির আহমেদ বলেন, “ভোটার সংখ্যা, ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন নির্বাচন কমিশন থেকে গেজেট প্রকাশ করা হবে। এছাড়া ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে এখনও চুড়ান্ত হয়নি।”

তফসিল অনুযায়ী আগামী ১২ জুন খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ মে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন, ১৮ মে মনোনয়ন বাছাই ও ২৫ মে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন।

Link copied!