• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

ঈদের সকালে আগুনে পুড়ল ৩০টি দোকান


শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৪, ১২:৩৮ পিএম
ঈদের সকালে আগুনে পুড়ল ৩০টি দোকান

ঈদের নামাজ চলাকালে শরীয়তপুরের একটি বাজারে আগুন লেগে ৩০টি দোকান পুড়ে গেছে। ঈদের সকালে এমন আগুনে ব্যবসায়ীদের ঈদ আনন্দ মাটি হয়ে গেল।

বৃহস্পতিবার (১১এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝির ঘাট বাজারে এ আগুন লাগে।

ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, সকালে বাজারের ইউনুস খানের মুদির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুদি দোকানটির আশেপাশে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের কয়েকটি দোকান থাকায় দ্রুত আগুন অন্যান্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বাজারের ২৮ থেকে ৩০টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে প্রায় ৪ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সালমান ফরাসী বলেন, “আমার দোকানে ১৫ লাখ টাকার মালামাল ছিল। সকালে দোকান বন্ধ করে বাসায় গিয়ে নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় শুনি দোকানে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই আমার সারা জীবনের পুঁজি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে গেছে আমার।”

আগুনে রাসেল মাদবরের ৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আমার চারটি দোকান ছিল, যা ভাড়া দিয়ে আমি আয় করে থাকি। ঈদের দিন এমন ক্ষতি হয়ে যাবে ভাবতেও পারিনি। ঈদের আনন্দ পুড়ে শেষ হয়েছে আমার।”

মাঝিরঘাট নৌ পুলিশের ইনচার্জ মো. জসিম উদ্দিন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “বাজারটি নদীর কাছাকাছি এলাকায়। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ঈদের সকালে এমন আগুনে ব্যবসায়ীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।”

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়ার হাউজ পরিদর্শক শংকর বিশ্বাস সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট প্রায় ২ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আগুনে বাজারের ২৮ থেকে ৩০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।”

জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা আবেদন করলে সরকারিভাবে যতটুকু সম্ভব উপজেলা প্রশাসন তাদের পাশে দাঁড়াবে।”
 

Link copied!