পিরোজপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলার পোস্ট অফিস সড়কের জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে।
পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, “সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে কার্যালয়ের দরজা-জানালাসহ বেশ কিছু চেয়ার ভাঙচুর করেছে। এছাড়া আহতরা চিকিৎসা নিতে জেলা হাসপাতালে গেলে ছাত্রলীগের লোকজন সেখানেও হামলা চালায়।”
বিএনপির অভিযোগ, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল করতে দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হচ্ছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় ছাত্রলীগের হামলায় জেলা মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বপ্না সুলতানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. বদিউজ্জামান রুবেল, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মারুফ হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রিয়াজ মাহমুদসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এদিকে, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইফতেখার মাহমুদ সজল বলেন, “আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলকে স্বাগত জানিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরের পোস্ট অফিস সড়কে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মেহেদী হাসান কাইয়ুম (২৩), পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল ইসলাম ফেরদাউস (২১), সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম শাহিনসহ (২৩) আট নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।”
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, “বিএনপি ও ছাত্রলীগের কর্মসূচি ছিল। ছাত্রলীগের মিছিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বিএনপি কার্যালয় ও আশপাশে অভিযান চালিয়ে পাঁচটি ককটেল জব্দ এবং ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”