• ঢাকা
  • রবিবার, ১২ মে, ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বাড়ির বারান্দায় ১৪টি মৌচাক


জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৪, ০৪:৫২ পিএম
বাড়ির বারান্দায় ১৪টি মৌচাক
এক বাড়ির বারান্দায় ১৪টি মৌচাক। ছবি : প্রতিনিধি

দ্বিতল ভবনের বারান্দায় ছোট-বড় ১৪টি মৌচাক। হাজার হাজার উড়ন্ত মৌমাছির ভোঁ ভোঁ শব্দ। বাড়িজুড়ে মধুর ম ম গন্ধ। এর মধ্যেই বাড়ির শিশু-কিশোর ও বয়স্কদের নির্ভয়ে অবাধ চলাচল। এ যেন মানুষ ও মৌমাছির মধ্যে মধুর বন্ধুত্ব।—এমন দৃশ্য চোখে পড়বে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের পাঁচগাছি গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ হাবিবুর রহমান (হবু হাজি) বাড়িতে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বারান্দায় চাকগুলো লম্বা হয়ে নিচের দিকে ঝুলে পড়েছে। মৌমাছি বাড়িময় উড়ে বেড়ালেও কাউকে কামড় বা হুল ফোটাচ্ছে না। এ যেন মৌমাছি আর মানুষের অন্য রকম এক ভালোবাসা।

মৌচাক দেখতে আসা কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, “চেয়ারম্যান সাহেবের বাড়িতে মানুষ আর মৌমাছি একই সঙ্গে বসবাস করছে শুনেছিলাম। আজ তা নিজ চোখে দেখলাম। সত্যিই এ এক অন্য রকম ভালোবাসা। মৌমাছি উড়ে আমাদের গায়ে এসে পড়লেও কাউকে হুল ফোটাচ্ছে না। এ রকম ঘটনা আমরা আর আগে কখনো দেখিনি।”

মৌমাছি বাড়িময় উড়ে বেড়ালেও কাউকে কামড় বা হুল ফোটাচ্ছে না। ছবি : প্রতিনিধি

হবু হাজির ছেলে মো. ইদ্রিস আলী বলেন, মৌমাছিগুলো চাক বাঁধার পর থেকে বারান্দায় চলাফেরা, কাপড় শুকানো ও রান্না-বান্নার কাজ করা হয়। এ সময় চাকে কাপড় ও হাত লাগলেও মৌমাছিগুলো কামড়ায় না।

বাড়ির মালিক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান (হবু হাজি) বলেন, “বছরের পর বছর মাছিগুলো চাক বেঁধে আছে। এখন পর্যন্ত কাউকে কামড়ায়নি। অনেক মানুষ মধু চাক থেকে মধু সংগ্রহ করার জন্য এসেছিল। আমি মধু সংগ্রহ করতে দেয়নি। যেহেতু মৌমাছিগুলো আমার বাড়ি নিরাপদ মনে করে বাসা বেঁধেছে এবং এরা যেহেতু আমাদের কোনো ক্ষতি করে না, সে কারণে মৌমাছিগুলোকে আমরা পরিবারের সদস্যের মতোই মনে করি।”

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নিয়ায কাযমির বলেন, মৌমাছিগুলো যেখানে নিরাপত্তা, বাঁচার পরিবেশ ও খাবাবের ভালো সুব্যবস্থা পায়, সেখানেই বাসা বাঁধে। মৌমাছিকে বিরক্ত বা আঘাত করলে আত্মরক্ষার্থে তারা হুল ফোটায়। মৌমাছির হুলে মানুষের মারা যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। মৌমাছি থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করা উচিত।

 

Link copied!