বগুড়ার শিবগঞ্জের সাদুল্লাপুর বটতলা গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রী ও কলেজপড়ুয়া ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন ওই গ্রামের প্রবাসী ইদরিস আলীর স্ত্রী রানী বেগম (৪০) এবং এই দম্পতির ছেলে ইমরান হোসেন (১৮)। ইমরান বগুড়া শহরের ফকির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও স্বজনেরা জানান, রানী বেগম ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন। সোমবার রাতে খাবার খেয়ে তিনি এক কক্ষে ও ছেলে ইমরান পাশের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে স্বজনেরা এসে বারান্দায় রানী বেগমের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। আরেক কক্ষে ছিল ইমরানের লাশ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুস শুকুর বলেন, রাতের কোনো একসময়ে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে হত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি। বাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেল খোয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।