২০১২ সালের এই দিনে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় তাজরীন ফ্যাশন লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডে ১১৭ জন পোশাক-শ্রমিক নিহত হন। আহত হয়েছিলেন দুই শতাধিক। দেশের পোশাকশিল্পে এটিই অগ্নিকাণ্ডের সর্বোচ্চ হতাহতের ঘটনা।
দিনটি স্মরণে ও নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে পুড়ে যাওয়া ভবনটির সামনে সমবেত হন নিহতের স্বজন, আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) তাজরীন ফ্যাশনের সামনে আগুনে পুড়ে অঙ্গার হওয়া শ্রমিকদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নিহতের স্বজন, আহত ও সাধারণ শ্রমিকসহ শ্রমিক নেতারা।
এসময় শ্রমিক নেতারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে জরাজীর্ণ তাজরীন ফ্যাশনের সামনে জমায়েত হতে থাকেন। একের পর এক স্বজন, আহত শ্রমিক, সাধারণ শ্রমিক, শ্রমিক নেতা ও শিল্প পুলিশ নিহতদের শ্রদ্ধা জানান।
শ্রমিক নেতারা বলেন, শতাধিক শ্রমিক নিহতের আজ ১১ বছর হয়ে যায়। কিন্তু খুনি মালিকের কোনো শাস্তি হয়নি। আহত শ্রমিক ও নিহতের স্বজনরা তাদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত। আহতরা আজ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। রোজগার করতে না পারায় তারা আজ পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন। শ্রমিকদের একজীবনের ক্ষতিপূরণ ও আহতদের পর্যাপ্ত চিকিৎসাসহ পুড়ে যাওয়া ভবনটি সংস্কার করে হাসপাতাল নির্মাণের দাবি জানান তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন, ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কাস, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য লীগ, গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।