• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৩ মুহররম ১৪৪৬
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

স্বপদে বহাল রেখে সেই শিক্ষককে শাস্তি 


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২১, ০৯:২৫ এএম
স্বপদে বহাল রেখে সেই শিক্ষককে শাস্তি 

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাটার ঘটনায় জড়িত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনকে স্বপদে বহাল রেখে তিন শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

রোববার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নোটিস বোর্ডে রেজিস্ট্রার সোহরাব আলী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই শিক্ষার্থীদের পাঠদান, পরীক্ষাসহ অন্যান্য যাবতীয় একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অভিযুক্ত প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিনকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হলো।

অফিস আদেশটি রোববার একাডেমিক ভবনের নোটিস বোর্ডে টানানো হলেও তাতে রেজিস্ট্রার গত ২১ নভেম্বর স্বাক্ষর করেছেন।

চুল কাটার ঘটনায় শিক্ষার্থীরা শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনের বরখাস্তের দাবিতে ক্যাম্পাসে লাগাতার আন্দোলন করেন। সে দাবি উপেক্ষা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে স্বপদে বহাল রাখল।

এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, এ সিদ্ধান্ত একাডেমিক কাউন্সিলে অনেক আগেই নেওয়া যেত। শুধু শুধু সময়ক্ষেপণ করেছে প্রশাসন। মূলত শিক্ষিকা ফারহানার পক্ষ নিতেই এমন টালবাহানা করা হয়েছে।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন পরীক্ষার হলে ঢুকে প্রথমবর্ষের ১৪ ছাত্রের মাথার চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও শিক্ষিকা ফারহানার অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীরা লাগাতার আন্দোলন শুরু করে। পরে ফারহানাকে সাময়িক বরখাস্ত ও পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন।

গত ২১ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। কিন্তু শিক্ষিকা ফারহানার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সিন্ডিকেট সভা মুলতবি করা হলে ফের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন।

এরপর প্রশাসনের আশ্বাসে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
 

Link copied!