• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

সুনামগঞ্জের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে প্রশাসনের ১০ নির্দেশনা


সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২১, ১০:৫৫ এএম
সুনামগঞ্জের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে প্রশাসনের ১০ নির্দেশনা

সুনামগঞ্জের রামসা প্রকল্পের টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজী লেক, বারেকটিলা, যাদুকাটা নদী, শিমুল বাগান ও হাওর বিলাসসহ জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে চলছে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে।

দেশ-বিদেশের পর্যটকরা এখানে এসে হাওর ভ্রমণ, হাওরের স্বচ্ছ পানিতে সাঁতার কাটা, রাত্রি যাপন, মেঘালয় পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্যসহ আরও নানানভাবে আনন্দ উপভোগ করে থাকে। কিন্তু উচ্চ স্বরে গান বাজানো, বিভিন্ন প্রকার মাদক সেবন ও হাওরের পরিবেশ নষ্ট করাসহ পর্যটকদের বিরুদ্ধে আরও নানান অভিযোগ পাওয়া গেছে। এজন্য জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনে ১০টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ইঞ্জিনচালিত নৌকা, টলার কিংবা স্পিডবোর্ড নিয়ে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণের উদ্দেশে যাত্রা করার ৬ ঘণ্টা আগে নির্ধারিত ফরমে যানবাহনের নাম, পর্যটকের নাম, যাত্রার সময় ও ফেরত আসার সময়সহ অন্যান্যও বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ও থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাছে লিখিতভাবে জানাতে হবে। 

কোনো যানবাহন অতিরিক্ত পর্যটক বহন করতে পারবে না। নৌযানে ভ্রমণের সময় চালক ও পর্যটকদের অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরিধান করতে হবে এবং লাইফ জ্যাকেট ছাড়া হাওর ও নদীর পানিতে কেউ নামতে পারবে না। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে হাওর ও নদীতে ভ্রমণ করা যাবে না। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সবাইকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করতে হবে।

এছাড়া পর্যটকবাহী প্রতিটি যানবাহনে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করতে হবে। হাওর ও নদীসহ অন্য কোথাও ময়লা আবর্জনা ফেলা যাবে না। উচ্চ স্বরে মাইক ও লাউড স্পিকার ব্যবহার করে শব্দ দূষণ সৃষ্টি করা যাবে না। প্রতিটি নৌযানে পর্যটকদের জন্য মানসম্মত পরিবেশ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সকল সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। আর ভ্রমণকালে পর্যটকরা তাদের জিনিসপত্র নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করাসহ নিজেদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে।

গত বছরের ১৯ মার্চ জেলার টাঙ্গুয়ার হাওরসহ সকল পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সম্প্রতি সরকারি নির্দেশনায় পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়। এরপর থেকে পর্যটকদের পদচারণে মুখরিত হয়ে ওঠে টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজী লেক, বারেকটিলা, যাদুকাটা নদী, শিমুল বাগান ও হাওর বিলাসসহ জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। 

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির বলেন, “উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে আগত পর্যটকদের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়াসহ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ ও হাওরের পরিবেশ রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। সে জন্য পর্যটক বহনকারী নৌচালক ও মালিকদের সাথে আলোচনা করে ভ্রমণ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। কেউ নির্দেশনা অমান্য করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”

Link copied!