আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “বিএনপি প্রতিনিয়তই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। বাংলাদেশে কেউ সংখালঘূ নয়, সবাই সংখ্যাগুরু। সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহ তাদেরই ষড়যন্ত্রের ফসল। বাংলাদেশে যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে এবং সমাজের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে ভোট আদায় করার চেষ্টা করে সেই চক্র অর্থাৎ বিএনপি-জামায়াত চক্র এ ঘটনা ঘটিয়েছে এবং সেগুলো ধীরে ধীরে দিবালোকের মত স্পষ্ট হচ্ছে।”
শনিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, “আমরা শুরু থেকেই তাদের ষড়যন্ত্রের কথা বলেছিলাম। আজকে তদন্তে দেখা যাচ্ছে কিভাবে নোয়াখালীতে বরকতুল্লাহ ভুলু ইন্ধন দিয়েছে। ইকবালকে কারা ইন্ধন দিয়েছে সবগুলো ধীরে ধীরে বের হচ্ছে। আমাদের দল তাৎক্ষণিকভাবে সারা দেশে নির্দেশনা দিয়েছিল দলের নেতা-কর্মীরা যাতে সংখ্যালঘূ সম্প্রদায়ের পাশে থাকে এবং আমাদের দল দাঁড়িয়েছিল। একই সঙ্গে সরকার তাৎক্ষনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। এ পর্যন্ত ১২৯টি মামলা হয়েছে। এতে গ্রেপ্তার হয়েছে ১২০০ এর বেশি আসামি।”
এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে সেটি সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছে। আমাদের দেশের কূটনীতিকরাও এতে প্রশংসা করেছেন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
২৯ অক্টোবর (শুক্রবার) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বক্তব্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যে কথা বলেছেন তা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে না, তারা ষড়যন্ত্রের শক্তি আর বন্দুকের শক্তিতে বিশ্বাস করে। সেজন্যই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কথা বলে। সেজন্যই অতীতে তারা নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল। প্রতিনিয়তই তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ তাদেরই ষড়যন্ত্রের ফসল।”
হাছান মাহমুদ বলেন, “আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বাহাত্তরের সংবিধানই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমান, এরশাদ ক্ষমতা দখল করে বাহাত্তরের সংবিধান কাটা ছেঁড়া করে সংবিধানের মূল চেতনাকে নষ্ট করেছে। আমরা মনে করি এদেশে কেউ সংখালঘু নয়, সবাই সংখ্যাগুরু।”
পরে মন্ত্রী দিনাজপুর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত জেলা আওয়ামী লীগের
বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন।
এ সময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সাংসদ জাকিয়া তাবাসসুম জুঁই, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।