প্রেম মানে না কোনো বাধা, প্রেম মানে না কোনো দূরত্ব। প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়া থেকে ৬ হাজার ৯৮৮ কিলোমিটার (কিমি) পথ অতিক্রম করে বাংলাদেশে এসেছেন এক তরুণী। তার নাম ফানিয়া আইওপ্রেনিয়া। সোমবার (৭ মার্চ) বিকেলে একটি ফ্লাইটে রাজধানীর হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামে রাসেল আহমেদের সঙ্গে ফেসবুকে ওই তরুণীর পরিচয়। তারপর প্রেম। সেই টানেই বাংলাদেশে আসা তার। বিমানবন্দর থেকে নেমেই তিনি চলে যান রাখালিয়া গ্রামে। বুধবার (৯ মার্চ) সকালে রাসেলের বাড়ি গিয়ে দেখা যায় তার পরিবারের সঙ্গে গল্প করছেন ফানিয়া।
ফানিয়া ইন্দোনেশিয়ার দিপক এলাকার পাউদি হেলমি ও ফিসুনয়াদি ইসনা ওয়াপি দম্পতির মেয়ে। তিনি সেখানে একটি কলসেন্টারে চাকরি করেন। রাসেল ওই গ্রামের মো. মনির হোসেনের ছেলে। পেশায় তিনি একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী।
জানা গেছে, প্রায় চার বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে ফানিয়ার সঙ্গে রাসেলের পরিচয়, বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠতা। একপর্যায়ে তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়।
রাসেল জানান, চার বছর প্রেম করার পর বিয়ের জন্য সুদূর ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশে পাড়ি জমান ফানিয়া। ভবিষ্যতে স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের ইচ্ছা আছে তার। দুই মাসের ছুটি নিয়ে এসেছেন ফানিয়া। ছুটি শেষে চলে যেতে হবে আবার ইন্দোনেশিয়ায়। ফানিয়া বাংলাদেশে থাকার ব্যাপারে আগ্রহী।
ফানিয়া জানান, রাসেলের প্রতি গভীর ভালোবাসার টানে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। রাসেলের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চান তিনি। বিষয়টি ফানিয়া তার মা-বাবকে জানিয়েছেন। তিনি এ দেশের মানুষের ভালোবাসায় মুগ্ধ। ফানিয়া বাংলা জানেন, তবে বলতে পারেন না। আস্তে আস্তে বাংলা শেখার চেষ্টা করছেন।
রাসেল আহমেদের মা বিলকিস বেগম জানিয়েছেন, এখানে আসার পর থেকে পরিবারের সবার সঙ্গে খুব মিশে গেছেন ফানিয়া। সবাইকে আপন করে নিয়েছেন তিনি।
এদিকে ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। আশপাশের মানুষ ভিড় করছেন এই বিদেশি তরুণীকে দেখার জন্য।