টেকনাফের বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ও মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়। তবে প্রদীপ গ্রেপ্তারের পরে থেকে পলাতক রয়েছেন তার স্ত্রী চুমকি।
এর আগে গত ২৬ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পলাতক থাকায় আদালত ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এছাড়া প্রদীপের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার শুনানি উপলক্ষে আজ সকালে প্রদীপ দাশকে কক্সবাজার কারাগার থেকে চট্টগ্রাম আনা হয় পুলিশ প্রহরায়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, প্রদীপের স্ত্রী চুমকির ৪ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ২ কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকার। বাকি সম্পদ অর্থাৎ ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
এছাড়া নগরীর পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, ৪৫ ভরি স্বর্ণ, একটি কার ও মাইক্রোবাস, কক্সবাজারের একটি ফ্ল্যাট ও ব্যাংক হিসাবের মালিক প্রদীপের স্ত্রী চুমকি। প্রদীপের ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থে স্ত্রী চুমকি কারণ এসব সম্পদ অর্জন করেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে। এছাড়া চুমকি নিজেকে মাছ ব্যবসায়ী দাবি করলেও তার কোনো অস্তিত্ব পায়নি দুদক।
গত বছরের ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় গত বছরের ৬ আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন প্রদীপ। এ ঘটনায় নিহতের বোনের করা মামলায় ২৭ জুন অভিযোগ গঠনের মধ্যে বিচার শুরু হয়েছে। যে মামলার আসামি প্রদীপসহ ১৫ জন।