পাবনায় পথ হারানো একটি কচ্ছপকে উদ্ধার করে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) নিরিবিলি লেকে ছেড়ে দিয়েছেন বন্য প্রাণিবিষয়ক সংগঠনের সদস্যরা।
কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে পাবনা শহরের খাল-ডোবা উপচে পানি চলে আসে রাস্তাসহ লোকালয়ে। সেই পানিতে পথ হারিয়ে ভেসে আসে একটি কচ্ছপ। কচ্ছপটি হাঁটতে হাঁটতে চলে আসে লোকালয়ে। বিষয়টি চোখে পড়ার পর স্থানীয় এক যুবকের সহযোগিতায় কচ্ছপটিকে উদ্ধার করেন বন্য প্রাণিবিষয়ক সংগঠনের সদস্যরা।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) পাবনা জেলা শহরের শালগাড়িয়ার পুরোনো এতিমখানা এলাকা থেকে কচ্ছপটিকে উদ্ধার করা হয়। এরপর বুধবার (৪ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নিরিবিলি’ লেকে কচ্ছপটিকে উন্মুক্ত করা হয়।
কচ্ছপটি উদ্ধারে সহযোগিতা করেছেন পাবনা শহরের শালগাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা মাসুদ রানা। তিনি বলেন, “মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় কয়েকজন যুবক কচ্ছপটিকে ধরে টানাটানি করছিল। তাদের কেউ কেউ কচ্ছপটিকে পিটিয়ে হত্যা, কেউবা বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে চাচ্ছিল।”
বিষয়টি দেখে কচ্ছপটির প্রতি মায়া হয় মাসুদ রানার। পরে তিনি জেলা শহরের বন্য প্রাণিবিষয়ক সংগঠন নেচার অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ কনসার্ভেশন কমিটিকে বিষয়টি জানান। দ্রুত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কচ্ছপটিকে উদ্ধার করে আনেন। পরে বুধবার দুপুরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নিরিবিলি’ লেকে কচ্ছপটিকে উন্মুক্ত করা হয়।
কমিটির সভাপতি এহসান আলী বিশ্বাস বলেন,“ উদ্ধার করা কচ্ছপটি লাল কান স্লাইডার প্রজাতির কচ্ছপ। এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকে এমন তিনটি কচ্ছপ উন্মুক্ত করা হয়েছে। লেকটিকে কচ্ছপের অভয়াশ্রম করা গেলে সেখানে কচ্ছপের প্রজনন সম্ভব হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হাসিবুর রহমান বলেন, “কমিটির সদস্যদের সঙ্গে উপস্থিত থেকে আমরা কচ্ছপটি লেকে উন্মুক্ত করেছি। কচ্ছপগুলোর যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।”
হাসিবুর রহমান আরও বলেন, “লেকটিকে আমরা বিভিন্ন জলজ প্রাণীর অভয়াশ্রম হিসেবেই দেখছি। লেকটিতে কচ্ছপের বংশবৃদ্ধির উপযোগী রাখতে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।”