খুলনায় আজ আদালতে তোলা হবে মামুনুল হককে

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে খুলনার একটি আদালতে হাজির করা হবে। ২০১৩ সালে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করা হয়। সেই মামলায় রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

খুলনা জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানার একটি মামলায় খুলনা অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে রোববার হাজিরা দেওয়ার জন্য মামুনুল হককে জেলা কারাগারে আনা হয়।

মামলার চার্জশিট সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল, গ্রেপ্তার করা যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি ও সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামসহ ১২ দলের প্রায় ৩ হাজার মানুষ মিছিল বের করে। মিছিলটি নগরীর ডাকবাংলা ও ময়লাপোতা মোড় হয়ে শিববাড়ি মোড়ে গণজাগরণ মঞ্চের দিকে যাচ্ছিল। ফুজি কালার ল্যাবের সামনে পৌঁছালে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা মিছিলের মধ্য থেকে পুলিশের ওপর ককটেল বোমা ও গুলি নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। নিক্ষিপ্ত বোমার আঘাতে কিছু পুলিশ সদস্য আহত হন। সেখান থেকে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়।

এ ব্যাপারে ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সোনাডাঙ্গা থানার এসআই আলমগীর কবীর বাদী হয়ে খুলনা মহানগর ইমাম পরিষদের কয়েকজন নেতা ও মাওলানা মামুনুল হকসহ ২৬ জনের নামে মামলা করেন।

ওই ঘটনার আগের দিন ময়লাপোতা মসজিদ মোড়ে ওয়াজ করার সময় হাফেজ মামুনুল হকসহ অন্যান্যরা সংগঠিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও গণজাগরণ মঞ্চ ভাঙচুরসহ পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনুসারীদের নির্দেশ দেন। ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মোক্তার হোসেন ১০৭ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

এর আগে শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মামুনুল হককে খুলনা জেলা কারাগারে আনা হয়।

এ ব্যাপারে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার দেলোয়ার পারভেজ জানিয়েছিলেন, সোনাডাঙ্গা থানার ২৩ (২) ২০১৩ নম্বর মামলায় খুলনা অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজিরার জন্য মামুনুল হককে খুলনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। কয়েক দফা রিমান্ড শেষে তাকে কাশিমপুর কারাগারে রাখা হয়।