ভোলার দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন ও সদর উপজেলা র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটস এবং আরটি-পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তবে অন্যান্য উপজেলার তুলনায় সদর উপজেলাতে আক্রান্তের হার বেশি। এর মধ্যে ভোলা পৌরসভা এলাকাতে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে।
বুধবার (৪ আগস্ট) সকালে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সিরাজ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ভোলার সিভিল সার্জন দপ্তরের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় জেলায় এক দিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮২ জন। নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্তের হার ৫১.২৬ শতাংশ। এর মধ্যে ১৩২ জনই সদর উপজেলার। উপজেলায় আক্রান্তের ৫১ শতাংশ এবং জেলার এক-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৬৭ জন ভোলা পৌরসভার বাসিন্দা।
এর মধ্যে পৌরসভার ওয়েস্টার্ন পাড়ায় আক্রান্ত ১৫ জন, পৌর কাঠালী ৮, সদর রোড ৩, কালীনাথ রায়ের বাজার ৬, চরনোয়াবাদ ৬, উকিলপাড়া ৮, অফিসারপাড়া ৫, স্টেডিয়াম সড়ক ২, কালীবাড়ি রোড ৪, মুসলিমপাড়া ৪, পুলিশ লাইন ১, যুগীরঘোল ৩, পৌর বাপ্তা ৪ ও গাজিপুর রোডে ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া সদর উপজেলার আালীনগর, ইলিশা, বাপ্তা, দিঘলদী, শিবপুর ইউনিয়নে শনাক্তের হার বেশি রয়েছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে আরও তিন নারীসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চন্দ্র প্রসাদ গ্রামের আবদুল রম মিয়াজী (৭২), তজুমদ্দিন উপজেলার শশীগঞ্জের লিজা (৩৫), মনপুরা উপজেলার চরজোতিনের শিরিন (৫৬) করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের রেখা বেগম উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৪৫ জনে। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলার বাইরে ও উপসর্গ নিয়ে আরও অন্তত ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সিভিল সার্জর কার্যালয় সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত জেলার সাত উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪০৯ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫৭৪ জন। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২০ হাজার ৬৩৩ জনের। এছাড়া ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩৪৭ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ২৭১ জন। বর্তমানে সেখানে ৬৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা-বরিশাল রেফার্ড করা হয়েছে আরও অন্তত ২০০ জনকে।