• ঢাকা
  • সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২০ জ্বিলকদ ১৪৪৬

একরাম হত্যা মামলার ফাঁসির আসামি বাপ্পি গ্রেপ্তার


ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২১, ০৯:০৩ পিএম
একরাম হত্যা মামলার ফাঁসির আসামি বাপ্পি গ্রেপ্তার

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি একরামুল হক একরাম হত্যা মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি জিয়াউর রহমান বাপ্পীকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

শনিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার ধুমসাদ্দা এলাকায় তার শ্বশুড় বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাপ্পী ফেনী সদর উপজেলার মোটবি ইউনিয়নের মো. হানিফের ছেলে। তার পরিবার ফেনী শহরের বিরিঞ্চি এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতো।

পুলিশ জানায়, বাপ্পি হত্যা মামলায় জবানবন্দি ও দিয়েছিলো। সেখানে তার পিতার নাম মো. হানিফ লেখা হলেও চার্জশিটে আজিজ নাম লেখা থাকায় তাকে গ্রেপ্তারের পর এই নিয়ে একটু জটিলতা দেখা দিয়েছিলো। পরবর্তীতে পুলিশ বাপ্পীকে ৫৪ ধারায় আদালতে চালান দিয়ে আদালতকে বিস্তারিত অবহিত করেন। একপর্যায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জাকির হোসেন বাপ্পির পিতার নাম সংশোধন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন।

ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নিজাম উদ্দিন জানান, চেয়ারম্যান একরাম হত্যা মামলার আসামি জিয়াউর রহমান বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তার বাবার নাম ও চার্জশিটে উল্লেখ করা আসামির বাবার নামের সঙ্গে অমিল রয়েছে। নাম সংশোধনের চেষ্টা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

২০১৪ সালের ২০ মে তৎকালীন ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক একরামকে প্রকাশ্যে গুলি করে ও পুড়িয়ে হত্যা করে নিজ দলীয়রা। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার জিয়াউর রহমান বাপ্পিসহ ১৬ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে জামিনে বের হয়ে পালিয়ে যান বাপ্পি।

২০১৮ সালের ১৩ মার্চ মামলার রায়ে বাপ্পিসহ ৩৯ জন আসামির ফাঁসি ও ১৬ জনকে খালাস দেন তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল হক। পলাতক থাকা দীর্ঘ সাত বছর পর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এছাড়া ফাঁসির দণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের মধ্যে রুটি সোহেল নামে এক আসামি জামিনে থাকা অবস্থায় র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। একই সঙ্গে মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন ১০ জন। আর জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন ৯ জন।


 

Link copied!