• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫
মেরিন ড্রাইভ

ছাদখোলা বাসে পাহাড়-সাগর ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৪, ০২:২২ পিএম
ছাদখোলা বাসে পাহাড়-সাগর ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ
মেরিন ড্রাইভে পর্যটকদের জন্য ছাদখোলা বাসের উদ্বোধন। ছবি : সংগৃহীত

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু করল ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাস। এই বাসে চড়ে ভ্রমণপিপাসুরা উপভোগ করছেন পাহাড়, সাগর ও প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য।

ভ্রমণপিপাসুরা বলছেন, ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাস কক্সবাজার ভ্রমণকে অন্যমাত্রায় নিয়ে যাবে। আর ট্যুরিস্ট বাস সংযোজনের মধ্যে দিয়ে কক্সবাজারের পর্যটনশিল্প আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় লাবণী পয়েন্টে থেকে শুরু হয় ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাসের যাত্রা, যা গিয়ে থামে রেজুখাল পয়েন্টে। এরপর বিরতি দিয়ে আবার শুরু হয় যাত্রা।

মেরিন ড্রাইভের বেশ কয়েকটি পয়েন্ট ভ্রমণের পর যা গিয়ে থামে টেকনাফের সাবরাংয়ে। এরপর পুরো দিন মেরিন ড্রাইভে কাটিয়ে সন্ধ্যা আবারও ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাসে চড়ে ফিরবে ভ্রমণপিপাসুরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, যাত্রী চাহিদা বাড়লে আরও বাড়ানো হবে ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাস। প্রথম দিকে দুটি বাস দিয়ে যাত্রা শুরু হল। আশা করি, আরও দুটি ট্যুরিস্ট বাস খুব শিগগিরই যুক্ত হবে। এই ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাসের যাত্রার মাধ্যমে কক্সবাজারের পর্যটনশিল্পকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।

তিনি আরও বলেন, সারি সারি ঝাউগাছ, মাঝে দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ। যার দুপাশে রয়েছে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য, যা মুগ্ধ করে ভ্রমণপিপাসুদের। যার কারণে প্রতিদিনই এই মেরিন ড্রাইভে ভ্রমণে যান হাজারো ভ্রমণপিপাসু। তাদের জন্য এই বাস। এই বাসটিতে একদিনের এই প্যাকেজে জনপ্রতি খরচ হবে আপার ডেকে ৭০০ টাকা আর লোয়ার ডেকে ৬০০ টাকা। যার টিকিট মিলবে লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে।

বাসের যাত্রী পর্যটক তানভীর হাসান বলেন, অনেক আনন্দের এই যাত্রা। ছাদখোলা বাসে চড়ে একদিকে সাগরের গর্জন অন্যদিকে পাহাড়ে পাখির কলবর মুগ্ধ করছে। প্রথমবার ছাদখোলা বাসে চড়ে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাতুয়ারটেক ও সাবরাং ভ্রমণ করেছি।

আরেক পর্যটক তৈয়ব হায়দার বলেন, “দুই সন্তান আর আমরা স্বামী-স্ত্রী ঢাকা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে এসে ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাসে চড়ে কক্সবাজারের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করছি। প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই, দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভে একটি নতুন যাত্রা করে দেওয়ার জন্য। বেশ উপভোগ করছি।”

Link copied!