• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬
নারী বিশ্বকাপ

ম্যাচ হেরে হতাশ টাইগ্রেস অধিনায়ক


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২২, ০২:৪৪ পিএম
ম্যাচ হেরে হতাশ টাইগ্রেস অধিনায়ক
ছবি সংগৃহীত

প্রথমবার নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে এসে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। কিন্তু শুক্রবার  (১৮ মার্চ) ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অল্প রানে বেঁধে ফেলার পরেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় টাইগ্রেসরা হেরে গেছে মাত্র ৪ রানে।

প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩২ রানে হারের পর নিগার সুলতানার দল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের কাছে বৃষ্টি আইনে হেরেছিল ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯ রানের জয়ের পর সমর্থকদের আশা ছিল ভাল কিছুর। কিন্তু সে আশা পূরণ হয়নি বাংলাদেশের। 

এদিন মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে সালমা খাতুন ও নাহিদা আক্তারের বোলিং তোপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯ উইকেটে মাত্র ১৪০ রান তুলতেই ইনিংস শেষ হয়ে যায়। কিন্তু জয়ের দারুণ সম্ভাবনা তৈরি করেও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৪৯.৩ ওভারে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে গেছে ১৩৬ রানে। ফলে ৪ রানের রোমাঞ্চকর এক জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ম্যাচ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিকে হারের পর কেমন অনুভূতি হচ্ছে প্রশ্ন করা হয়। টাইগ্রেস অধিনায়ক বলছেন, ‘‘হতাশা তো থাকবেই। এসব অনেক ক্লোজ ম্যাচ, অনেক বড় সুযোগ ছিল আরও দুই পয়েন্ট নেওয়ার। আমার মনে হয় অনেক বড় একটা সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে, এটার জন্য সবার মন খারাপ হওয়াটা স্বাভাবিক।’’ 

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এত অল্প রানে আটকে দেবার পর টাইগ্রেসদের পরিকল্পনা কী ছিল? নিগার সুলতানা জানালেন, তারা নাকি দ্রুতই ম্যাচ শেষ করতে চেয়েছিলেন। 

অধিনায়ক বলেন, ‘‘আমাদের আসলে পরিকল্পনা ছিল, যে প্রসেসটা মেইনটেইন করি এইসব উইকেটে। ১০ ওভার করে ভাগ করে খেলি। হয়তো বোর্ডে রান কম ছিল কিন্তু আমাদের পরিকল্পনা ছিল ১৪০ রান যত কম সময়ে করা যায়। ৩০-৩৫ ওভারের মধ্যে খেলাটা শেষ করা।’’

কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে দেখা যায়নি এই পরিকল্পনার ছাপ। এমন প্রশ্নের ব্যাখ্যায় জ্যোতি বলেছেন, ‘‘দ্রুত উইকেট পড়ে যাওয়াতেই আসলে স্লো ডাউন করতে হয়েছে একটু। কারণ আপনাকে বুঝতে হবে কখন পেস অন করতে হবে আর কখন অফ। ওই সময় যদি পেস অস করে খেলা হতো, তাহলে খেলাটা আরও দ্রুত শেষ হয়ে যেত। শেষ পর্যন্ত নাহিদা অনেক লড়াই করেছে, যদি একটা ব্যাটার তাকে সাপোর্ট করতো, রেজাল্ট আলাদা হতে পারতো।’’

এর আগে ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জিততে না পারার কারণ হিসেবে জুটি গড়ার ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করেন জ্যোতি। এসব পরিস্থিতিতে অভিজ্ঞতা কম থাকায় জয় ধরা দিচ্ছে না বলে মনে করেন তিনি। তবে নিয়মিত খেললে আরও উন্নতি হবে বলে বিশ্বাস টাইগ্রেস অধিনায়কের।

খেলা বিভাগের আরো খবর

Link copied!