ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আশঙ্কাজনকভাবে গত ১৪ মার্চ রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার আইসিইউতে নিবিড় পরিচর্যার মধ্যে রাখা হয়েছিল তাকে। প্রায় এক সপ্তাহ আইসিইউতে থাকার পর উন্নতির ফলে মঙ্গলবার (২২ মার্চ) তাকে কেবিনে নেয়া হয়েছে।
বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে মোশাররফ রুবেলের স্ত্রী ফারহানা চৈতি রূপা তার শারীরিক অবস্থার এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রুবেলের স্ত্রী জানান, ‘‘আজকে কেবিনে শিফট করা হয়েছে, মোটামুটি সবকিছুই নরমালের দিকে। হয়তো আরও দুই তিন কেবিনে রাখা হবে, চিকিৎসকরা দেখবেন শারীরিক কোনো পরিবর্তন আসে কিনা, উন্নতি বা অবনতি হয় কিনা। এরপর আশা করছি রিলিজ দিয়ে দেবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘মাঝে দিয়ে কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছিল। সোডিয়াম লেভেলটা যখন নরমালে চলে এসেছিল, তখন একটু ইনফেকশন দেখা দিয়েছিল ফুসফুসে। ব্লাড প্রেশার অনেক কমে গিয়েছিল। লাস্ট কেমোটা দেয়ার পর প্লাটিলেট কমে গিয়েছিল। তবে সেটা ধীরে ধীরে বাড়বে, চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছিল। এসব এখন কন্ট্রোল করার চেষ্টা চলছে। সবকিছু কন্ট্রোল করতে পারলে, আর শারীরিক অবস্থা একটু ভালো হলেই ছেড়ে দেবে।’’
এর আগে ২০১৯ সালে ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে রুবেলের। সে বছরের ১৯ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিউরো সার্জন এলভিন হংয়ের তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচার হয় রুবেলের। প্রায় দেড় বছরের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তিনি।
কিন্তু আবারও টিউমার ধরা পড়ায় দ্বিতীয় দফায় ভারতের একটি হাসপাতালে টিউমার অপসারণ করেও সুস্থ হননি তিনি। বরং শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছেন ৩৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
মোশাররফ জাতীয় দলে জায়গা হারালেও ঘরোয়া লিগে খেলেছেন নিয়মিত। টিউমার ধরা পড়ার পর সে যাত্রাও থেমে যায়। প্রথম দফায় অস্ত্রোপচার সফল হলে আবার মাঠে ফেরায় আশাবাদী ছিলেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয়বার মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়লে সে আশার আলোও নিভে যায় বাংলাদেশ দলের হয়ে ৫টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করা এই ক্রিকেটারের।
