• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড প্রথম টেস্টের খুঁটিনাটি


ফারজানা ববি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২২, ১১:০৭ এএম
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড প্রথম টেস্টের খুঁটিনাটি

টেস্ট ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। টাইগাররা এর আগে ১৫টি টেস্টে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল, যার মধ্যে ১২টিতে হেরেছে। এটি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রথম জয়, তাদের আগের নয়টি ম্যাচের মধ্যে আটটিতে হেরেছে।

নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সব ফরম্যাটে খেলা আগের ৩২টি ম্যাচের প্রতিটিতে জিতেছে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের আগে নিউজিল্যান্ড দেশের মাটিতে টানা ১৭টি  টেস্ট জয় করেছে। এটি ছিল ঘরের মাঠে টেস্টে তাদের দীর্ঘতম অপরাজিত ধারা, যা ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে যাওয়ার পর শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশের বিপক্ষে এই পরাজয় নিউজিল্যান্ডের ঘরের মাঠে আটটি টেস্ট সিরিজ জয়ের রেকর্ডের স্রোতকেও থামিয়ে দেয়।

মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের আগে দেশের বাইরে খেলতে গিয়ে বাংলাদেশের ৫টি টেস্ট জয় এসেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২০০৯) এবং জিম্বাবুয়েতে (২০১৩ এবং ২০২১) দুটি করে টেস্ট জিতেছে। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায় আরও একটি জয় এসেছে।

নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের বোলার এবাদত হোসেনের বোলিং পরিসংখ্যান ৪৬ রানে ৬ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো পেসারের জন্য এটি দ্বিতীয় সেরা বোলিং পরিসংখ্যান। শুধু শাহাদাত হোসেনেরই ভালো পরিসংখ্যান রয়েছে। ঢাকায় ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৭ রানে ছয় উইকেট নিয়েছিলেন। ২০১৩ সালের এপ্রিলে রবিউল ইসলামের পর এবাদত প্রথম বাংলাদেশি পেসার যিনি এক ইনিংসে পাঁচের বেশি উইকেট নেন।

দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ আট উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড যোগ করে ৩৩ রান। টেস্ট ইনিংসে বাংলাদেশের বিপক্ষে যেকোনো দলের সবচেয়ে কম রান এটি। ২০১৬ সালে ঢাকায় ইংল্যান্ড বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ আট উইকেট হারিয়েছিল ৪০ রানে। যেখানে তারা ২ উইকেটে ১২৪ রান থেকে ১৬৪ রানে অলআউট হয়েছিল।

এই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের নিচের সারির ছয়জন মিলে ৬০ রান করে যা গত ৫০ বছরে টেস্টে তাদের তৃতীয় কম। এই সময়ের মধ্যে তাদের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল গত মাসে মুম্বাইতে ভারতের বিপক্ষে ৪৮ রান। এর আগে ১৯৯৩ সালে হ্যামিল্টনে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫৯ রান।

বে ওভালে বাংলাদেশ পেসারদের ১৩ উইকেট, টেস্ট ম্যাচে তাদের সবচেয়ে বেশি উইকেট। তার আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১৩ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১১ উইকেট।

খেলা বিভাগের আরো খবর

Link copied!