টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পারফরম্যান্স বিবেচনায় দুই মেরুতে ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান। বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে একটি জয়ের জন্য বাংলাদেশ যেখানে হাঁসফাঁস করেছে, পাকিস্তান সেখানে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতেছে। চলতি সিরিজ দিয়েই বিশ্বকাপ পরবর্তী মিশন শুরু করেছে দুই দল।
ছয় বছর পর আবারও বাংলাদেশ সফরে এসেছে পাকিস্তান। চলতি সিরিজে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে তারা। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান করেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেছেন আফিফ হোসেন। পাকিস্তানের হয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন হাসান আলী।
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় টাইগার ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পরিবর্তনের মধ্যে যাওয়া বাংলাদেশ দলের হয়ে ব্যাটিংয়ে ওপেনিং করতে আসেন মোহাম্মদ নাঈম ও সাইফ হাসান। ওপেনিং ব্যর্থতা থেকে আজও বের হতে পারল না বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে উইকেট না হারালেও দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় তারা।
দলীয় ৩ রানে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন মোহাম্মদ নাঈম। এর পরের ওভারেই ফেরেন আরেক ওপেনার সাইফ হাসান। উদ্বোধনী দুই ব্যাটার ১ রানের বেশি করতে পারেনি। দলে ফিরে আবারও ব্যর্থ নাজমুল হাসান শান্ত। মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪ বলে ৭ রান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৫ রান তুলে বাংলাদেশ।
এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ হোসেন মিলে কিছুটা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু দুইজনের ২৫ রানের জুটি ভাঙে দুর্ভাগ্যবশত আউট হন মাহমুদউল্লাহ। তার ব্যাট থেকে আসে ১১ বলে ৬ রান।
আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিও নিয়ে বেঁচে যান আফিফ। মোহাম্মদ নাওয়াজের বলে টানা দুটি ছয় মারেন আফিফ। সাদাব খানের গুগলিতে উইকেট কিপারের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান। দুটি করে চার ও ছয়ে ৩৪ বলে এ রান করেন তিনি।
এরপর নুরুল হাসান সোহান এসে ব্যাট চালাতে থাকেন। দুর্দান্ত কিছু শট খেলেন তিনি। সোহান ও মেহেদী ৩৫ রানের জুটি গড়েন। হাসান আলীর বলে উইকেটকিপার রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন সোহান। দুটি ছয়ে ২২ বলে ২৮ রান করেন তিনি। এছাড়া দুটি ছয় ও একটি চারে ২০ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন মেহেদী হাসান। তিন বলে ৮* রান করেছেন তাসকিন আহমেদ।
নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১২৭ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ১২৮ রান।
পাকিস্তানের হয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন হাসান আলী। দুই উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন সাদাব খান ও মোহাম্মদ নওয়াজ।