টাকার অভাব দেখিয়ে জাতীয় নারী ফুটবল দলকে মিয়ানমারে প্যারিস অলিম্পিকের এশিয়ান অঞ্চলের বাছাইয়ে খেলতে পাঠায়নি বাফুফে। এই খবর প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই নানাবিধ তোপের মুখে পড়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে সাফজয়ী নারীদের যারা পুরস্কার দিতে চেয়েছিল, দেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এমনকি ক্রিকেট বোর্ডের টাকার ব্যাপারেও কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। একই সংবাদ সম্মেলনে পরোক্ষভাবে ক্রীড়া মন্ত্রনালয়কেও দায়ী করেন।
বিসিবি প্রতিশ্রুত টাকা ওই সংবাদ সম্মেলনের দিন দুয়েকের মধ্যেই পেয়ে গেছেন সাবিনা-কৃষ্ণারা। মেয়েদের দেওয়া বিসিবির চেকে তারিখ দেওয়া ছিল গত বছরের ৪ অক্টোবরের। এর মানে বিসিবি দিতে চাইলেও আগ্রহ দেখায়নি বাফুফে।
কেন আগ্রহ দেখায়নি এবার জানা গেলো সেই কারণ। মূলত বিসিবি চেয়েছিল পুরস্কার নারী ফুটবলারদের হাতে তুলে দিবে। তবে সেটা আবার বাফুফের পছন্দ ছিল না।
কেন পছন্দ ছিল না সেটা জানতে হলে যেতে আরেকটি ঘটনায়। কয়েকদিন আগেই বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিল মেয়েরা। এমনকি অনুশীলনও বন্ধ রেখেছিল তিন দিন।
এটা শুনে বিদেশ থেকে নিজের প্রতিশ্রুত পুরস্কারের টাকা পাঠান বাফুফের সহসভাপতি আতাউর রহমান মানিক। কিন্তু সেই টাকা পুরস্কার হিসেবে নয় বরং বেতন হিসেবে মেয়েদের হাতে তুলে দেয় বাফুফে।
ঠিক এই সন্দেহেই বিসিবি বাফুফে কর্তাদের না দিয়ে সরাসরি মেয়েদের হাতে টাকা দিতে চেয়েছে। আর এ কারণেই বিসিবির সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি বাফুফে।
পুরো ঘটনায় ফেঁসে যেতে পারেন সালাউদ্দিন। মাত্র চারদিনের সময় দিয়ে যেত বাজেট তিনি চেয়েছেন সরকারের কাছে তাতেও রয়েছে গড়মিল। সবমিলিয়ে স্বয়ং ক্রীড়ামন্ত্রী মনে করছেন, বাফুফে ইচ্ছা করেই মেয়েদের পাঠায়নি। সম্প্রতি পুরো বিষয়টা তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি।