বিশ্বকাপের শুরু থেকেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কোন সংবাদ সম্মেলনে আসেনি সাকিব আল হাসান। তবে, নেদারল্যান্ডস ম্যাচের থেকে সংবাদ সম্মেলনে আসা তার। ডাচদের বিপক্ষে ম্যাচ হারার পর অনেকটা বিষণ্ন মুখে কথা বলেন সাকিব। কিন্তু আজ (সোমবার) ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে দেখা মিললো অন্য এক সাকিব আল হাসানকে। ফুরফুরে মেজাজে উত্তর দিয়েছেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের। আর সম্মেলন কক্ষ ত্যাগ করার আগে হাসিমুখে সাকিব বলেন ’মাঝে মাঝে হাসিরও দরকার আছে।’
এর আগে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করে পাকিস্তানতো খারাপ সময় পার করছে? বাংলাদেশের জন্য এটা একটা সুযোগ হবে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেন, “একই কথা তারাও বলতে পারে যে, আমরাও পাঁচটা ম্যাচ হেরে বসে আছি। এটা ওদের অ্যাডভান্টেজ। কী বলব বলেন? (হাসি)।”
তার এই ফুরফুরে মেজাজ দেখে বিদেশি এক সাংবাদিক প্রশ্ন করে বসেন নেদারল্যান্ডস ম্যাচের আবহ ভুলেছেন কীভাবে? উত্তরে সাকিব বলেন, “আমার কণ্ঠ কি আজ পরিবর্তন লাগছে? (হাসি)। আমরাই কেবল পারি দলের পরিস্থিতি বদলে দিতে নিজেদের অ্যাকশন দিয়ে। এটাই করার চেষ্টা আছি আমি।”
এ সময় সাকিব আরও বলেন, “আমরা নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হার নিয়ে কথা বলেছি। নিজেদের গ্রুপ মিটিং হয়েছে। আমরা নিজেরা বসেছিলাম, আলোচনা করেছি কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে ওভারকাম করতে পারি যেখানে বর্তমানে আমরা আছি। আমাদেরকে সেটা মাঠে প্রমাণ করতে হবে। পারফর্ম করতে না পারলে সব কিছুই মূল্যহীন। এজন্য আমাদেরকে মাঠে পারফর্ম করে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। যেন প্রত্যেকে তা দেখতে পারেন।”
পাকিস্তান-বাংলাদেশ দুদলই হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে সাকিব বলেন, “চেষ্টা করবো জিততে। নিজেদের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করবো। ২ পয়েন্ট নিশ্চিত করতে চাইবো। এজন্য যতটা সম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাবো। আমি এই মুহূর্তে কোনো দলকে রেট করতে চাইছি না। আমাদের কাল অতি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে। যেটা আমরা জিততে চাই। পাকিস্তানও তাই। তারাও ম্যাচটা জিততে চায়। যে দলটি ভালো খেলবে তারাই জিতবে। আমরা পাকিস্তানের চেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করবো যেন ম্যাচটা জিততে পারি।”
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল ব্যর্থ. ব্যর্থ সাকিব নিজেও। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে ব্যাট-বলে দারুণ খেলা সাকিব এই বিশ্বকাপে আছে নিজের ছায়া হয়ে। এই বিষয়ে সাকিব বলেন, “আমিও পারফর্ম করতে চাই। আমি সেটা হচ্ছে না। কেন হচ্ছে না আমিও ওই পথটা খোঁজার চেষ্টাই করছি।”