বাংলাদেশের ক্রিকেটে আলোচনা হবার কথা ছিল বিশ্বকাপে কেমন করবে টাইগাররা অথবা কেমন হলো টাইগারদের বিশ্বকাপ স্কোয়াড। তবে, সব আলোচনাকে ছাপিয়ে চলছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে অন্য নাটক। বিশ্বকাপের জন্য বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এর থেকেও বেশি আলোচনায় বিশ্ব আসরের দল থেকে তামিম ইকবালের বাদ পড়া। তবে বিশ্বকাপ দলসহ বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয় নিয়ে সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন সাকিব আল হাসান।
দেশ ছাড়ার আগে, একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে দল নিয়ে সাকিবের একটি সাক্ষাৎকার। সেখানে বিভিন্ন প্রসঙ্গের পাশাপাশি উঠে আসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সাকিবের অবসরের বিষয়টিও। সাকিবও জানিয়ে দিয়েছেন কবে অবসর নিতে চান তিনি।
সাকিব আল হাসান বলেন, “আজকে এখন এই অবস্থায় বলছি, ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত ওয়ানডে খেলবো। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে টি-টোয়েন্টিকে বিদায় দেবো। টেস্টের অবসর শিগগিরই। তবে একেক ফরমেট একেক সময় ছাড়লেও আনুষ্ঠানিক অবসর ঘোষণা করবো ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর।”
বিশ্বকাপের আগেই শোনা যাচ্ছিল অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিতে চান তিনি। তাই প্রশ্ন আসল অধিনায়কত্ব নিয়ে টাইগার অধিনায়ক বলেন, “আমার অধিনায়কত্ব নেওয়ার ইচ্ছা ছিল না! আমি কখনও ভাবিও নাই কেউ ওই সময় অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিবে! তারপর আমাকে এশিয়া কাপের দলে পাঠালো! আমি দেখলাম রিয়াদ ভাই দলে নেই! আমার কিছু বলার ও ছিল না! কারন পরের দিনে সবাই রওনা দিয়েছে! আমাকে সবাই বলতেছে আমি নাকী রিয়াদ ভাইকে নেইনি! এইসব হাস্যকর কথা! মানুষের সাইলকোলজি এমন কেনও! আমি কিছু জানি না! তাও আমার দোষ দেওয়া হয়েছে!”
এ সময় সাকিব আরও বলেন, “বিশ্বকাপই শেষ। এরপর একদিনও অধিনায়কত্ব করবো না। যে কারণে আমি এশিয়া কাপের আগে নিতে চাইনি। এরপরও এটা না। আমার কাছে মনে হয়েছে আমি হাসতে চাই, খেলতে চাই, পারফর্ম করতে চাই। এই একটা কারণে আমি করতে চাইনি। আর কোনে কারণ নেই। বেস্ট হয় যদি অধিনায়ক না থাকি। অধিনায়কত্ব কি আমার কোনো ভেল্যু এড করতেছে ক্যারিয়ারে এই স্টেজে এসে? আমি তো মনে করি না। “