মিরপুরে আবারও বৃষ্টি। খেলা বন্ধ বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের প্রথম ওয়ানডে। ৩৩.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৬ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। এরপরই বৃষ্টির কারণে থেমে গেছে ম্যাচ। বৃষ্টির কারণে খেলা আগেই নেমে এসেছে ৪২ ওভারে। টম ব্লান্ডেল ও কোল ম্যাককোচি দুজনই অপরাজিত আছেন ৮ রানে।
এরআগে, টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। কিন্তু ৪ ওভার ৩ বল হওয়ার পর ম্যাচ বন্ধ হয়। বৃষ্টি আসার আগপর্যন্ত কিউই ওপেনারদের ভালোই চাপে রেখেছিলেন দুই পেসার তানজিম হাসান সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমান। কোনো উইকেট না পেলেও কেবল ৯ রান খরচ করেছে টাইগাররা। বৃষ্টি থামার পর খেলা কমে দাঁড়ায় ৪২ ওভারে।
৪ ওভার ৩ বলের সময় বন্ধ হয় খেলা। অসমাপ্ত পঞ্চম ওভার করতে এসেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। শেষ বলে ইনিংসের প্রথম বাউন্ডারিটি মেরেছেন ফিন অ্যালেন। ফুললেংথে ছিল, অ্যালেন তুলে মেরেছেন মিড অফ দিয়ে। সাকিবকে সরিয়ে বল হাতে নাসুম আহমেদকে আক্রমণে আনে লিটন দাস। টার্ন ও বাউন্সের দেখা পেয়েছেন শুরু থেকেই। প্রথম চার বলে পরাস্ত হয়েছেন ইয়াং, পঞ্চম বলে ইনসাইড-এজ হলেও বেঁচে গেছেন। নুরুল কঠিন সুযোগটি নিতে পারেননি। নাসুম শুরু করেছেন মেডেনে।
বিরতির আগেও ঠিক স্বস্তিতে ছিলেন না অ্যালেন। ফিরলেন মুস্তাফিজের বলে। উইকেটের পেছনে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন দলে ফেরা নুরুল, আগের ওভারে কঠিন একটি সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন যিনি। সপ্তম ওভারে প্রথম উইকেট নেই নিউজিল্যান্ডের, ১৪ রানের মাথায়।
পরের ওভারেও মুস্তাফিজের আরেকটি উইকেট। চ্যাড বোয়েজকে ফেরান দা ফিজ। সোহানের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে চ্যাড করেন ১ রান। দলের রান ১৬ রানে দুই উইকেট।
এরপরই ইয়াংয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধেন হ্যানরি নিকোলস। তাদের দারুণ জুটিতে শুরুর ধাক্কা অনেকটাই সামলে নেয় নিউজিল্যান্ড। দুজন মিলে গড়ে ফেলেন ৯৭ রানের জুটি। এই ফাঁকে ইয়াং তুলে নেন তার অর্ধশতক। ফিফটি করলেন ৮৩ বলে। ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটিটি এসেছে নাসুমের বলে সিঙ্গেল নিয়ে।
এ উইকেটটি যখন বাংলাদেশ দলের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তখনি আবারও বল হাতে মুস্তাফিজের আঘাত। ফিরেই উইকেট পেলেন বাংলাদেশ পেসার, ইনিংসে তৃতীয়বারের মতো। এবার তাঁর শিকার হেনরি নিকোলস। এলবিডব্লিউ হয়েছেন তিনি। মোস্তাফিজের আঘাতে ভাঙলেন ৯৭ রানের জুটি। নিকোলস থেমেছেন ৪৪ রানে।
এরপর বল হাতে ম্যাজিক নাসুম আহমেদের। দ্রুতই ফেরান দারুণ খেলতে থাকা ইয়াংকে। ৫৮ রান করা ইয়াং ফেরেন স্ট্যাম্পিং হয়ে। এক বল পরই এলবিডব্লিইতে কাটা পড়েন রাবিন্দ্রা শূন্য রানে। ১২৩ রানে কিউইদের নেয় ৫ উইকেট।