• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সেমিফাইনালের রেসে টিকে থাকল পাকিস্তান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৩, ০৮:০৭ পিএম
সেমিফাইনালের রেসে টিকে থাকল পাকিস্তান
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপে শেষ চারের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে কিউইদের বিপক্ষে বাবর আজমের জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না। পাকিস্তান যে আনপ্রেডিক্টেবল দল সেটাই আবারও প্রমাণ করে দেখাল তারা। ৪০২ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমে ঝড়ের গতিতে ব্যাট চালিয়েছেন ফখর জামান। এদিন তার ব্যাটিং ঝড়ে বাধা দেয় বৃষ্টি। তাতে অবশ্য খারাপ হয়নি পাকিস্তানের। ম্যাচে দুইবার বৃষ্টি হানা দিলে পাকিস্তানকে বৃষ্টি আইনে ২১ রানে জয়ী ঘোষণা করা হয়। এই জয়ে বাবর আজমের দল সেমিফাইনালের রেসে টিকে থাকল।

শনিবার (৪ নভেম্বর) বেঙ্গালুরুতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪০১ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ২৫ ওভার ৩ বলে এক উইকেট হারিয়ে ২০০ রান তোলে পাকিস্তান।

পাহাড়সম রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই পাকিস্তান হারিয়ে বসে ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিককে। দলীয় ৬ রানের সময় ৪ রান করা শফিককে ফেরান টিম সাউদি।এরপরই কিউই বোলারদের ওপর ব্যাট হাতে শাসন করেন বাবর আজম ও ফখর জামান। তবে, বাবরের চেয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন ফখর। তার ব্যাটিং তাণ্ডব দেখে অ্যাংকর রোল প্লে করেন বাবর। কিউই বোলারদের নাস্তানাবুদ করে ৬৩ বলে শতক করে ফেলেন ফখর জামান। যা পাকিস্তানের হয়ে বিশ্বকাপে দ্রুততম শতক। অপর প্রান্তে থাকা বাবর আজমও পৌঁছে গিয়েছেন হাফসেঞ্চুরির কাছে।

তবে, ম্যাচের বয়স যখন ২১ ওভার ৩ বল তখন হানা দিয়েছে বৃষ্টি। তখন ২১ ওভার ৩ বলে ১ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তুলেছে ৯২-এর চ্যাম্পিয়নরা। এরপর বৃষ্টি থাকলে আবারও খেলা শুরু হয়। পাকিস্তানের বৃষ্টি আইনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ১১১ বলে ১৮২ রান। এই লক্ষ্যে দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকেন বাবর ও ফখর। তাদের ব্যাটিংয়ে আবারও বাধা। ২৫ ওভার ৩ বলে ১ উইকেটে ২০০ রান করলে আবারও বৃষ্টির জন্য খেলা থাকমাতে হয়। এরপর আর বল মাঠে গড়ায়নি। ফখর ৮১ বলে ৮ চার ও ১১ ছক্কায় অপরাজিত ১২৬ রানে। আর তার সঙ্গী বাবর ৬৩ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৬৬ রানে।

এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৬৮ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। এ সময় হাসান আলির বলে উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডেভন কনওয়ে। ৩৯ বলে ৩৫ রান করেন কিউই ওপেনার। এরপর বড় জুটি গড়েন রাচিন রবীন্দ্র ও কেন উইলিয়ামসন মিলে।

শুরুর দিকে দেখেশুনে খেলে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে চলে দুজনই। এর মধ্যে রবীন্দ্র তিন অঙ্কের সংখ্যা স্পর্শও করে ফেলেন। রেকর্ডবুকে নিজের নামটাও তুলে দিয়েছেন রাচিন। বিশ্বকাপের অভিষেক আসরে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন রবীন্দ্র। এছাড়া মেগা এই টুর্নামেন্টে তার করা তৃতীয় শতক নিউজিল্যান্ড ব্যাটারদের মধ্যেও সর্বোচ্চ।

আবার কিউইদের ৬ ব্যাটার বিশ্বকাপে দুটি করে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এছাড়া সবচেয়ে কম বয়সে তিন সেঞ্চুরি পেয়েছেন রবীন্দ্র। আজ তার বয়স দাঁড়িয়েছে ২৩ বছর ৩৫১ দিনে। এর আগে সর্বনিম্ন ২২ বছর ৩১৩ দিন বয়সে ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেছিলেন।
তবে সেঞ্চুরি মিস করেন উইলিয়ামসন। ৭৯ বলে ৯৫ রান করে আউট হন তিনি। এ ইনিংসের মাধ্যমে বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান (১ হাজার ৮৪) হলো তার। ১ হাজার ৭৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন স্টিফেন ফ্লেমিং।

সেঞ্চুরি করা রবীন্দ্র শেষ পর্যন্ত ৯৪ বলে ১৫টি চার ও ১টি ছয় মারেন। তাকে আউট করেন ওয়াসিম জুনিয়র। এরপর মার্ক চাপম্যান ও ড্যারেল মিচেলরা নিউজিল্যান্ডের রানের চাকা ঘুরাতে থাকেন। দলীয় ৩১৮ রানে বিদায় নেন মিচেল। ১৮ বলে ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন তিনি। চাপম্যান ২৭ বলে ৩৯ রান করে ফেরেন সেই ওয়াসিমের বলে।

২৫ বলে ৪১ রান ক্যামিও ইনিংস খেলেন গ্লেন ফিলিপসও। তার উইকেটও নেন ওয়াসিম। মিচেল স্যান্টনার ফিলিপসকে ভালো সঙ্গ দিয়ে করেন ২৬ রান। টম লাথামের ব্যাট থেকে আসে ২ রান।

Link copied!