• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

নেদারল্যান্ডসকে ৮১ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৩, ০৯:৪৯ পিএম
নেদারল্যান্ডসকে ৮১ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান
হারিস রউফ । ছবি : সংগৃহীত

বাস ডি লিডি পাকিস্তানি ব্যাটারদের ওপর বল হাতে চালিয়েছিলেন তান্ডব। তুলে নিয়েছিলেন একাই চার উইকেট। পরে ব্যাট হাতেও শাহিন শাহ আফ্রিদি-হারিস রউফ-শাদাব খানদের ওপর করেছে শাসন। একাই লড়াই চালালেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি তিনি। দলীয় সর্বোচ্চ ৬৭ রানের ইনংসটি আসে তার ব্যাট থেকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে তার দলকে হারতে হয়েছে ৮১ রানে। পাকিস্তানের দেওয়া ২৮৭ রানের জবাবে নেদারল্যান্ডসের ইনিংস থামে ৪১ ওভারে ২০৫ রানে। ম্যাচ সেরা হয়েছেন পাকিস্তানের সৌদ শাকিল।

হায়দরাবাদে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তান ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে মাত্র ৪৩ রানে। ম্যাচের চতুর্থ ওভারেই পাকিস্তান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন ডাচ বোলার লোগান ফন বিক। তাকে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে বসেন পাকিস্তানি ওপেনার ফাখর জামান। ১৫ বলে ১২ রান করে আউট হন তিনি। দলীয় রান ছিল তখন ১৫।

এরপর বাবর আজম ও ইমাম-উল হক জুটি বাধেন। কিন্তু সেটা মাত্র ১৯ রানের। ১৮ বলে ৫ রান করে পল অ্যাকারম্যানের বলে সাকিব জুলফিকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাবর। দলের রান ছিল এ সময় ৩৪।

৩৮ রানের মাথায় আউট হয়ে যান ইমাম-উল হকও। ১৯ বলে ১৫ রান করেন তিনি। পল ফন মিকেরেনের বলে আরিয়ান দত্তের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমাম-উল হক।

তিন টপ অর্ডার ব্যাটারকে হারিয়ে রীতিমত ধুঁকতে থাকা পাকিস্তান দলের এরপর হাল ধরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সৌদ শাকিল। ৩২ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে ৫০ রান করেন সৌদ। হাফ সেঞ্চুরি করতে একটু বেশি বল খেলেছেন রিজওয়ান, ৫৮ বলে ৬ চারের সাহায্যে। দুজনের জুটি ১২০ রানে পৌঁছে ভেঙে যায়। আরিয়ান দত্তের বলে সৌদ ক্যাচ দেন সাকিব জুলফিকারকে। ৫২ বলে ৬৮ রান করেন তিনি।

সৌদের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রিজওয়ানও। বাস ডি লিডের কাছে বোল্ড হন তিনি ৬৮ রান করে। একই ওভারে ডি লিড ফেরান ৯ রান করা ইফতিখার আহমেদকে ।

১৮৮ রানে ৬ উইকেট হারানো পাকিস্তান আবার প্রতিরোধ গড়ে মোহাম্মদ নওয়াজ ও শাদাব খানের জুটিতে। ৪৪তম ওভারে ৬৪ রানের এই জুটি ভেঙে দেন ডি লিড। পরপর দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান ডাচ বোলার। ব্যক্তিগত ৩২ রানের সময় শাদাবকে বোল্ড করার পর নতুন ব্যাটার হাসান আলীকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ডি লিড। শাহীন শাহ আফ্রিদি ডিফেন্সিভ শটে তাকে আশাহত করেন।

৪৭তম ওভারে নওয়াজ ৩৯ রানে আউট হন। শেষ দিকে আফ্রিদি ও হারিস রউফের ব্যাটে তিনশ রান সংগ্রহের আভাস দেয়। পারেননি তারা। ৪৯তম ওভারের শেষ বলে স্টাম্পিং হন ১৬ রান করা হারিস। ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন আফ্রিদি। ৯ ওভারে ডি লিড ৬২ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়ে সেরা ডাচ বোলার। দুটি উইকেট পান কলিন অ্যাকারম্যান।

২৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নেদারল্যান্ডস ৫০ রান তুলতেই হারায় ম্যাক্স ও’ডাউড ও কলিন অ্যাকারম্যানের উইকেট। বিক্রম সিং একপাশ আগলে রেখে দারুণ খেললেও এই দুইজন যোগ্য সঙ্গী হতে পারেননি। দলীয় ২৮ রানের সময় ৫ রান করা ম্যাক্সকে ফেরান হাসান আলী। আর ৫০ রানের সময় ব্যক্তিগত ১৭ রান করে অ্যাকারম্যান আউট হন ইফতিখার আহমেদের বলে।

এরপর দারণ এক জুটি গড়েন বিক্রমের সঙ্গে ডি লিডি। বল হাতে পাকিস্তান ব্যাটসম্যানদের ওপর শাসন করা ডি লিডি ব্যাট হাতেও চালান ব্যাটিং তান্ডব। দুইজনের পার্টনারশীপ ৭০ রানের। ফাঁকে হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেন বিক্রম সিং। তবে এরপর আর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি তিনি। ৬৭ বলে ৫২ রান করে শাদাব খানের বলে ক্যাচ আউট হন বিক্রম।

উইকেটে বাস ডি লিডিকে সঙ্গ দিতে আসেন তেজা নিদামানুরু। কিন্তু ব্যর্থ নিদামানুরু। ম্যাচের ২৭তম ওভারে হারিস রউফের জোড়া আঘাতের প্রথম শিকার তেজা। ব্যক্তিগত ৫ রান করে নিদামানুরু যখন আউট হন দলীয় রান ১৩৩। এরপর তৃতীয় বলটি ডট দেন পাকিস্তান গতি তারকা। চতুর্থ বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসকে। রউফের পঞ্চম বলে ফিরে যেতে পারতেন সাকিব জুলফিকার। কিন্তু ইফতিখার আহমেদ ক্যাচ ড্রপ করায় ৩ উইকেট পাওয়া হয়নি রউফের।

এরপর ৪ উইকেট শিকারি বাস ডি লিডি দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। একপ্রান্তে উইকে পড়তে থাকলেও তিনি রানের চাকা সচল রাখেন। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারেনি। ৬৭ রান করে বিদায় নিতে হয় তাকে। তার উইকেট যখন মোহাম্মদ নেওয়াজ তুলে নেন তখন দলীয় রান ১৬৪। ডাচদের সপ্তম উইকেট হিসেবে তার বিদায়ের পর শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরা সেভাবে বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হন। লোগান ফন বিকের শেষ দিকে করা ২৮ রান শুধু ব্যবধান টুকু কমাতে সহায়তা করেন। ম্যাচ জেতাতে পারেনি। পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ নেন তিন উইকেট।  

Link copied!