রাজধানীতে একসময় দুদলের খেলায় কেমন উত্তেজনা ছড়াতো, তা বলে বোঝানো যাবে না। এখানে এখন সে অবস্থা না থাকলেও দেশের জনপ্রিয় দুই দল ঢাকা মোহামেডান ও ঢাকা আবাহনীর ফুটবল লড়াই ঢাকার বাইরেই মনে হয় ঠিকই উত্তাপ ছড়ায়।
শুক্রবার ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে বেশ জমজমাট এই দুই দলের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ম্যাচটি নাটকীয়ভাবে ড্র হয়েছে ২-২ গোলে। চার গোল, দুটি পেনাল্টি এবং লালকার্ডের ম্যাচ উত্তেজনা ছড়িয়েছিল মাঠ থেকে ডাগআউট ও গ্যালারিতে।
মাত্র ১০ দিন আগে গোপালগঞ্জে ফেডারেশন কাপের গ্রুপ ম্যাচে আবাহনীকে হারিয়েছিল মোহামেডান। গোপালগঞ্জের তার প্রতিশোধ নেওয়ার দারুণ সুযোগ ছিল আবাহনীর। ২-০ গোলে লিডও নিয়েছিল আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির দল। কিন্তু পিছিয়ে পড়েও মোহামেডান মাঠ ছেড়েছে ড্র করেই।
প্রথম আক্রমণেই মোহামেডানের জাল কাঁপিয়ে দেয় আবাহনী। দ্বিতীয় মিনিটে বাম দিক থেকে ব্রাজিলিয়ান ব্রুনো রোকার ফ্রি-কিক সরাসরি জড়িয়ে যায় জালে। ৫৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভিনসেন্টের ফরোয়ার্ড স্টুয়ার্ট কর্নেলিয়াস। এরপর জোড়া পেনাল্টি পায় মোহামেডান। দুটি স্পট-কিক কাজে লাগিয়ে মোহামেডানকে ম্যাচে ফেরান মালির ফরোয়ার্ড সোলেমান দিয়াবাতে।
দ্বিতীয় পেনাল্টি নিয়েই যত আপত্তি ছিল আবাহনীর। যাতে মাঠ, ডাগআউট এবং গ্যালারিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। রেফারি লালকার্ড দেখান আবাহনীর ম্যানেজার কাজী নজরুল ইসলামকে। এ ঘটনায় খেলা বন্ধ থাকে কিছু সময়।
মোহামেডান প্রথম কর্নার পেয়েছিল ৬৮ মিনিটে। আবাহনীর ডিফেন্ডার রেজাউল করিম বক্সে ফাউল করেছিলেন মোহামেডানের এমানুয়েল সানডেকে। ৮৭ মিনিটে দ্বিতীয় পেনাল্টির কারণ ছিল হ্যান্ডবল। দিয়াবাতের লক্ষভেদে সমতায় ফেরে মোহামেডান। ড্র করে একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্ব শেষ করলো সাদাকালোরা।
৯ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখলো মোহামেডান। আবাহনী তিনে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে।
আপনার মতামত লিখুন :