ক্রিকট্রাকার নামক ভারতীয় এক গণমাধ্যমে সম্প্রতি বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের সম্পদের পরিমাণ প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৫১৪ কোটি টাকা। অথচ ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় মাশরাফির সম্পদ ছিল ৯ কোটি টাকার কিছু বেশি।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পরই তোলপাড় শুরু হয়ে যায় দেশের সব মহলে। অনেকেই মাশরাফির বিপক্ষে অসততার অভিযোগে তাকে সমালোচনায় বিদ্ধ করা শুরু করেন। দেশের একাধিক নিউজ পোর্টালও ক্রিকট্রাকারকে সূত্র ধরে খবর প্রকাশ করে। অথচ ক্রিকট্রাকার নিজেই কোনো বিশ্বস্ত সুত্র দেখাতে পারেনি।
এদিকে সংসদ সদস্য হওয়ার আগের সম্পদ আর পরের সম্পদ বিবেচনা করেও অনেকে দূর্নীতির নোংড়া অভিযোগও ছুড়েছেন মাশরাফির দিকে। সারাদিন চুপ থাকলেও সোমবার রাতে নীরবতা ভেঙেছেন মাশরাফি। ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসে দেশের সংবাদমাধ্যমের উপর তীব্র প্রতিবাদ ও হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
মাশরাফি বলেন, “ভিনদেশী কোনো হাবিজাবি স্বস্তা ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজ তাদের মনগড়া যা ইচ্ছা লিখতেই পারে। সেসবকে পাত্তা দেওয়ার কিছু নেই। কিন্তু তাদেরকে সূত্র ধরে নিয়ে যখন আমাদের দেশের নানা ওয়েবসাইট (সংবাদমাধ্যম) যা ইচ্ছা তাই লিখে দেয়, তখন দুঃখ লাগে বটে।”
কোনো খোঁজ না নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকতার নীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এমনকি এমন সংবাদ প্রকাশ করার আগে নিজেদের বিবেকেও নাড়া দেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন মাশরাফি।
“দেশের একজন মানুষকে নিয়ে লেখা হচ্ছে, আপনারা চাইলেই তো খোঁজ-খবর নিতে পারেন। তা না করে উল্টো তাদের উদ্ভট নিউজের সূত্র ধরে আপনারা নিউজ করছেন। সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার ন্যূনতম চর্চা নাহয় করলেন না, অন্তত নিজেদের এতটা স্বস্তা হিসেবে তুলে ধরতেও তো বিবেকে নাড়া দেওয়া উচিত” যোগ করেন মাশরাফি।