কাতারে পর্দা উঠেছে ২২তম ফুটবল বিশ্বকাপের। ফুটবলের এ মহাযজ্ঞ দেখতে পুরো পৃথিবী থেকে লক্ষ্যাধিক মানুষ গিয়েছেন কাতারে। তাদের জন্য ফ্যান ভিলেজ তৈরি করেছে কাতার। যেখানে থাকার জন্য বাংলাদেশী টাকায় একজনকে খরচ করতে হবে ২১ হাজার টাকা!
এত বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করেই কাতারে যাওয়ার ফুটবলপ্রেমীরা সেখানে উঠেছেন। অথচ সেখানে ওঠার পর থেকে অভিযোগের যেন শেষ নেই তাদের। এমনকি এই ফ্যান ভিলেজে সমস্যার সঙ্গে নরক যন্ত্রণারও মিল খুঁজে পাচ্ছেন অনেকে।
ফ্যান ভিলেজে একদম প্রথম দিকে উঠেছিলেন ৩১ বছর বয়সী জাপানি ফুটবল ভক্ত শোগো নাকাশিমহা। বিবিসিকে ফ্যান ভিলেজ নিয়ে অভিযোগ করে বলেন, “এটা (ফ্যান ভিলেজ) নির্মানাধীন। দিনে এটা নরকের মতো লাগে, এত গরম!”
অসহায় কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, “এখানে থাকার জায়গা বদলানোর সুযোগ নেই। আমি শুধু এখানে ঘুমাতে আসি আর সারাদিন শহরে ঘুরে কাটিয়ে দেই। এখানে মোটেও থাকতে চাই না।”
কথা বোলার সময় হাসছিলেন তিনি! পরে বলেন, এখন হাসছেন কারণ একটু পরেই তাকে কাঁদতে হবে (ফ্যান ভিলেজের মধ্যেকার অবস্থার কারণে)।
একই সাথে হানিমুন ও বিশ্বকাপ দেখতে এসেছেন স্প্যানিশ দম্পতি ফাতিমা ও পেদ্রো। ফ্যান ভিলেজ নিয়ে তাদেরও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। এটাকে বরং তাদের কাছে নীচুমানের হোস্টেল মনে হয়েছে বলেও জানান।
পেদ্রো বলেন, “সত্যি বলতে প্রত্যাশা অনুযায়ী কিছুই পাইনি। ফিফা বিশ্বকাপের মতো আসরে মানসম্পন্ন জিনিসই মানু আশা করে। এটা (ফ্যান ভিলেজ) গ্রীন হাউজের মতো। এমন কিছুর জন্য টাকা দেইনি।”
ফ্যান ভিলেজে মোট এক হাজার আটশত তাবু খাটানো হয়েছে। যেখানে দুজন করে লোক থাকবেন প্রতি ঘরে। পাতলা প্ল্যাস্টিক দিয়ে তৈরি করা ঘরে দুইটি বিছানার সঙ্গে একটি ফ্যান ও বাতির ব্যবস্থা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :