• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

হলান্ডের রেকর্ডের দিনে লিভারপুলের সঙ্গে ম্যানসিটির ড্র


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৩, ০৯:০২ পিএম
হলান্ডের রেকর্ডের দিনে লিভারপুলের সঙ্গে ম্যানসিটির ড্র
গোলের পর উচ্ছ্বসিত ম্যানসিটির ফুটবলাররা। ছবি : সংগৃহীত

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দুই জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটি বনাম লিভারপুলের লড়াইয়ে জয়ের দেখা পায়নি কেউই। আর্লিং হলান্ডের রেকর্ডের দিনে তাদের ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে লিভারপুল। সিটির হয়ে গোল করেন হলান্ড আর লিভারপুলের হয়ে স্কোর শিটে নাম তোলেন ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ড। এই ম্যাচে প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে দ্রুততম ৫০ গোলের রেকর্ড গড়েছেন ম্যানসিটির স্ট্রআইকার হলান্ড।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগকে বলা হয় ইউরোপের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসর। এই আসরে লড়াই মাঝে মাঝে রূপ নেয় মহারণে, উন্মাদনার পারদ ছুঁয়ে ফেলে সর্বোচ্চ শিখর। আজ(শনিবার) তেমনই লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটি ও লিভারপুল। যেখানে সিটিজেনদের দাপটাই ছিল বেশি। ঘরের মাঠে লিভারপুলকে আতিথ্য দেয় ম্যানসিটি। পুরো ম্যাচে ছিল সিটিজেনদের দাপট। পুরো ম্যাচে ১৬টি শট নেন সিটিজেনরা। যার ৫টি ছিল গোলমুখে। পুরো ম্যাচে ৬১ শতাংশ বলও রােখেন তারা নিজেদের দখলে। অন্যদিকে ৮ শটের ৩টি অন টার্গেটে ছিল অল রেডদের। নিজেদের পায়ে বল রেখেছিল মাত্র ৩৯ শতাংশ। পুরো ম্যাচে লিবারপুল পাঁচটি খেলোয়াড়ারের পরিবর্তন আনলেও সিটিজেনরা করাননি কোন পরিবর্তন।

ঘরের মাঠে শুরু থেকেই আক্রমণ করে খেলতে থাকে ম্যান সিটি। তবে প্রথম সুযোগটা পায় লিভারপুর। ম্যাচের ১৪ মিনিটে মোহাম্মদ সালাহর ক্রস থেকে দারউইন নুনিয়েসের হেড পরাস্থ করতে পারেনি সিটির গোলরক্ষক এদেরসনকে।

গোলের পর আর্লিং হলান্ডের উচ্ছ্বাস। ছবি : সংগৃহীত

এরপর ম্যাচের ২৭ মিনিটে ম্যানচেস্টার সিটির ফ্রন্টলাইনের অন্যতম কাণ্ডারি হলান্ডের গোল। তার গোলের যোগানদাতা ছিলেন নাথান আকে। এই গোলের ফলে, ৪৮তম ম্যাচে এসে ছুঁয়ে ফেলেন প্রিমিয়ার লিগে দ্রুততম ৫০ গোলের রেকর্ড। আগের রেকর্ডটির মালিক অ্যান্ডি কোলের থেকে (৬৫) ১৭ ম্যাচ কম খেলেছেন তিনি।

এরপর বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি হলে দু’দলের কেউই গোল করতে পারেননি। ফলে এক গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যার স্কাই ব্লুজরা।   দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কিছুটা নিষ্প্রভ দেখা যায় লিভারপুলকে। এর ফাঁকে ম্যাচের ৬৭ মিনিটে আবারও জালের দেখা পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। তবে সেই গোলের আগে লিভারপুল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারকে ফাউল করে বসেন সিটির মিডফিল্ডার ম্যানুয়েল অ্যাকাঞ্জি। তাতে জালের দেখা পেয়েও গোলবঞ্চিত হয় ট্রেবল জয়ীরা। 

ম্যাচ যত শেষের দিকে এগোতে ততই ঘুরে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে অলরেডরা। ৮০ মিনিটে এসে তাদের সমতায় ফেরান ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ড। মোহামেদ সালাহর পাস থেকে কোনাকুনি শটে সিটি গোলরক্ষক এদেরসনকে পরাস্ত করেন তিনি।

লিভারপুলের হয়ে গোল শোধ করেন ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ড। ছবি : সংগৃহীত

শেষ দিকে এসে ঝড় বয়ে যায় লিভারপুল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারের ওপর। স্বাগতিকদের একের পর এক আক্রমণ ব্যর্থ করে দেন তিনি। শেষদিকে, অঘটনেরই জন্ম দিয়েছিলেন সিটি কিপার অ্যালিসন। তিনি বল সেভ করতে গিয়ে গোলের মধ্যে ঢুকে পড়েন। অবশ্য সেটি ইচ্ছাকৃতভাবে নয়। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের ধাক্কায় তিনি গোললাইন অতিক্রম করেন। তাতে গোল না দিয়ে রেফারি ফাউলের সংকেত দেন। বেকারের দারুণ নৈপুণ্যে সিটির মাঠ থেকে ড্র নিয়ে শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়ে লিভারপুল। যদিও জয় পেলে সুযোগ ছিল টেবিলের শীর্ষে উঠার। ১৩ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে তারা। অন্যদিকে ১৩ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সিটি।

খেলা বিভাগের আরো খবর

Link copied!