• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬
এশিয়ান গেমস

বড় হারে ফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ জ্যোতিদের


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩, ০৯:৪৪ এএম
বড় হারে ফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ জ্যোতিদের
এশিয়ান গেমস ভারত বনাম বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত

এশিয়ান গেমসে বড় স্বপ্ন নিয়ে চীনের হাংজুতে গিয়েছিলেন নিগার সুলতানা জ্যোতি, নাহিদা আখতাররা। কিন্তু সেমিফাইনালে ভারতের কাছে ৮ উইকেটে হেরে ফাইনাল খেলার স্বপ্নভঙ্গ হলো তাদের। বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারদের লক্ষ্য ছিল এই টুর্নামেন্টের অন্তত ফাইনালে খেলার। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে হেরে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে নামতে হবে জ্যোতিদের।

হাংজুর জিজিয়াং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের পাহাড়েরর কোল ঘেঁষা ছোট্ট ক্রিকেট মাঠে ম্যাচটি শুরু হয় রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায়। হাংজুতে আগে ব্যাট করে ভারতের বোলিং তোপে পড়ে মাত্র ৫১ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগ্রেসরা। মামুলি রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮ ওভার ২ বলে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। টাইগ্রেস অধিনায়কের ব্যাট করার সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হয়েছে ব্যাটিংয়ে নামার পর। কারণ বাংলাদেশের দুই ওপেনার সাথি রাণী ও শামিমা সুলতানা রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন। এরপর সুবহানা মুস্তারি ৮ রান করে বিদায় নেন। বাংলাদেশের প্রথম তিন ব্যাটারকেই প্যাভিলিয়ানে ফেরান ভারতের পুজা বস্ত্রকার। চতুর্থ উইকেটে স্বর্ণা আখতার নেমে ডাক মেরে ফেরেন।

টাগ্রেসরা ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লে অধিনায়ক দলের হাল ধরে আগাতে থাকেন। কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন না হওয়ার কারণে জ্যোতিকে রান আউটে কাটা পড়ে মাঠ ছাড়তে হয়। অধিনায়ক রান আউটের আগে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১২ রান করেন। জ্যোতির বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। রিতু মনির ৮ রান ও নাহিদা আখতারের অপরাজিত ৯* রান ছাড়া কেউ আর পরে ৫ রানের গন্ডি পেরতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৭ ওভার ৫ বলে বাংলাাদেশের ইনিংস থামে। টাইগ্রেসরা ১০ উইকেট হারিয়ে ৫১ রান সংগ্রহ করে। ভারতের হয়ে বস্ত্রকার ১৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন।

জবাবে সহজ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি মান্দানা ও শেফালি ভার্মা দারুণ শুরু এনে দেন। ম্যান ইন ব্লুদের দুই ওপেনার ১৯ রানের জুটি গড়েন। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম আঘাত হানেন তরুণ পেসার মারুফা আখতার। ইনিংসের চতুর্থ ওভার করতে আসা মারুফা ফেরান ৭ রানে থাকা অধিনায়ক স্মৃতিকে।

এরপর বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় উইকেটটি শিকার করেন ফাহিমা খাতুন। তিনি ১৭ রানে থাকা শেফালিকে প্যাভিলিয়ানের পথ দেখান। ভারতের দুই ওপেনারের বিদায়ের পর আর কোন উইকেট পড়েুনি। শেষ পর্যন্ত জেমিমা রদ্রিগেজ ও কণিকা আহুজা দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। জেমিমার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ২০* রান আর কণিকা করেন ১* রান।  

Link copied!