আফগানিস্তানে মার্কিন দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়ে ২০২১ সালের আগস্টে তালেবানরা ক্ষমতায় ফিরে আসে। তারা ক্ষমতা দখলের পর খেলাধুলা বা অনুশীলনে নারীদের অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি অন্যান্য অনেক মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আফগানিস্তানকে প্রতিনিয়ত চাপের মধ্যে রাখছে।
আইসিসির সদস্যপদ মানদণ্ড ২.২ (এ)(আই) অনুযায়ী সদস্য দেশগুলোর অবশ্যই "ক্রিকেটের প্রশাসন, পরিচালনা এবং উন্নয়নের নিয়ামক হিসেবে আইসিসি কর্তৃক স্বীকৃত পুরুষ ও নারীদের উপযুক্ত মর্যাদা, অবকাঠামো, স্বীকৃতি, সদস্যপদ থাকতে হবে।"
এই মানদণ্ড আফগানিস্তান আর পূরণ করে না। এর আগে নারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে অস্ট্রেলিয়া আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ বাতিল করে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিশ্বব্যাপী উদ্যোগের পরিচালক মিঙ্কি ওয়ার্ডেন বলেছেন, "তালেবান বাহিনী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে এবং নারী ক্রীড়াবিদদের হামলার হুমকি দিয়েছে। অ্যাথলেটরা এই ব্যাপারে রিপোর্ট করেছে। যার ফলে কিছু আফগান সাধারণ নারী এবং ক্রীড়াবিদ আত্মগোপনে চলে গেছে এবং খেলাধুলার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। অনেক ক্রীড়াবিদ আফগানিস্তানে রয়ে গেছে। তারা নিরাপদে প্রশিক্ষণ দিতে কিংবা সাবলীলভাবে খেলাধুলার সঙ্গে থাকতে অক্ষম।"
আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ১৭ মাস আলোচনার পরেও কোনো পরিবর্তন হয়নি। কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি আইসিসি। সংস্থাটির প্রধান জিওফ অ্যালার্ডিস নিশ্চিত করেছেন যে, বিষয়টি তার পরবর্তী সাধারণ সভায় উত্থাপিত হবে।
তিনি বলেন, "আমাদের বোর্ড দেশটির ক্ষমতা পরিবর্তনের পর থেকে অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করছে। এটি একটি উদ্বেগের বিষয় যে, আফগানিস্তানে অগ্রগতি হচ্ছে না। এই বিষয়ে মার্চ মাসে পরবর্তী বৈঠকে আলোচনা করা হবে।"