বিরাট কোহলির শতকের ওপর ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় লক্ষ্য দিয়েছে ভারত। নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেটে ৩২৬ রান করে টিম ইন্ডিয়া। বিরাট দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০১ রান করে। এছাড়া শ্রেয়াস আইয়ার করেন ৭৭ রান।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। শুভমান গিলকে নিয়ে দারুণ একটা শুরু করেন অধিনায়ক রোহিত। প্রায় ওভার প্রতি ১২ এর কাছাকাছি রানরেটে রান তুলে ষষ্ঠ ওভারের রাবাদার শিকারে পরিণত হন, ২৪ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৪০ রান করা ভারতীয় অধিনায়ক। দলীয় ৯৩ রানে আরেক ওপেনার গিলকে ফেরান কেশভ মহারাজ। আউট হওয়ার আগে গিল করেন ২৪ বলে ২৩ রান।
ম্তৃযাচের হাল ধরেন বিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ার। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৩৪ রান তোলেন এই দুই ব্যাটার। ভারতের বড় সংগ্রহের ভিতটা এখানেই গড়ে দেয়। দলীয় ২২৭ রানে এনগিডির শিকারে পরিণত হন আইয়ার। ৮৭ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে ৭৭ রান করেন তিনি। আগের ম্যাচের মতো আবারও সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে বিদায় নেন এই ব্যাটার। উইকেটে আসা লোকেশ রাহুল থিতু হওয়ার আগেই ফিরে যান। ১৭ বলে ৮ রান লোকেশকে ফেরান মার্কো ইয়ানসেন।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে কোহলি সূর্যকুমারের সঙ্গে ৩৬ রানের জুটি গড়েন। ১৪ বলে ২২ রান করে শামসির শিকারে পরিণত হন সূর্যকুমার।
সাবধানী ব্যাটিং করা কোহলি ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। অবশেষে ৪৯তম ওভারে রাবাদার বলে ১ রান নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। সেই সঙ্গে ছুঁয়ে ফেলেন শচীন টেন্ডুলকারকে। ২৯০তম ওয়ানডে ম্যাচে ২৭৮তম ইনিংসে ৪৯তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন তিনি। সমান সংখ্যক সেঞ্চুরির জন্য টেন্ডুলকার ৪৬৩ ম্যাচের ৪৫২ ইনিংসে ব্যাট করেছিলেন।
শেষ পর্যন্ত কোহলি ১২১ বলে ১০ চারে ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া ১৫ বলে ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভারতের সংগ্রহটা বড় করেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিনিও অপরাজিত ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে পাঁচ বোলার ভারতের পাঁচ ব্যাটসম্যানকে তুলে নেন।