নিজেদের দেশের বাহিরে কোন লিগে খেলতে পারে না ভারতীয় ক্রিকেটাররা। তাই বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজি লিগে চাহিদা বেশি থাকে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। তবুও দুবাইয়ের ইন্টারন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি লিগের লোভনীয় আর্থিক অফার ফিরিয়ে দিলেন বাবর আজ়ম। ৫ লক্ষ ডলার বা প্রায় ৫ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন বাবর। ইমেজ রাইটস ও অর্থ পরিশোধের শর্তে বনিবনা না হওয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি না খেলার সিদ্বান্ত নেন তিনি।
এর পরিবর্তে আসন্ন বিপিএলে খেলতে আগ্রহী পাকিস্তান অধিনায়ক। এমন খবর এসেছে দেশটির গণমাধ্যমে। তবে বিপিএলে কোন দলে খেলবেন এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। এর আগে ২০১৭ বিপিএলে সিলেট সিক্সার্সের হয়ে খেলেছিলেন বাবর।
বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ব্যাটসম্যানদের একজন বাবর আজম। ওয়ানডেতে এক নম্বর বাকি দুই ফরম্যাটেও আছেন র্যাঙ্কিংয়ের সেরা পাঁচে। পাকিস্তান দলের তিন ফরম্যাটের নেতৃত্ব ভারও তারই কাঁধে।
গত বছর আত্মপ্রকাশ করা লিগটির প্রথম আসরে পিসিবির নিষেধাজ্ঞা থাকায় অংশ নেয়নি পাকিস্তানের কোনো ক্রিকেটার। এবার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে পিসিবি। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসর মাঠে গড়াবে আগামী বছরের ১৯ জানুয়ারি।
বছর ৪ লাখ মার্কিন ডলারে শাহীন শাহ আফ্রিদিকে দলে ভিড়িয়েছে ডেজার্ট ভাইপার্স। ইমেজ রাইটসের অর্থও পাবেন আলাদা করে। একই দলে খেলবেন তার জাতীয় দলের সতীর্থ শাদাব খান ও আজম খান।
কিন্তু এই মিছিলে যোগ দেননি বাবর আজম। এক কারণও ব্যাখ্যা করেছেন অনেকে। সম্প্রতি বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান যেকোনো চুক্তি করার আগে কিছু শর্ত জুড়ে দেন। কোনো ধরণের টোব্যাকো, অ্যালকোহল ও বেটিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত দলের হয়ে তারা খেলবেন না। এ কারণেই ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে আগ্রহী না তারা। বরং এই দুই তারকা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএলে খেলতে আগ্রহী বলে গণমাধ্যমের খবর বলছে।
বাবর আজম বিপিএলে খেলতে চান এমন খবর আসলেও জানা যায়নি তার পছন্দের দলের নাম। যদিও অনেকে ধারণা করছেন, তার নতুন ঠিকানা হতে পারে রংপুর রাইডার্স। আগামী বছরের ১০ জানুয়ারি শুরু হতে পারে বিপিএলের পরবর্তী আসর।