‘ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস’ এই প্রচলিত কথাটি যেন সত্য হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের জন্য। দলটির বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে অজিরা দারুণ একটা শুরু পায়। পাক বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে তুলে নেন ৮২ রান। এই প্রতিবেদনটি লেখার আগে, ৪৪ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে তুলেছেন ৩৩৮ রান।
ওপেনিংয়ে নেমে দেখেশুনে ব্যাট করতে থাকেন দুই ওপেনার মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নার। প্রথম পাঁচ ওভার থেকে তারা রান তোলেন মাত্র ২৭ রান। তবে দলীয় ২২ রানের সময় শাহীন আফ্রিদির বলে ওয়ার্নারের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন উসামা মীর। তখন ওয়ার্নারের রান ছিল ১০। এরপর পাকিস্তানের বোলারদের আর কোনো সুযোগ দেননি। পাকিস্তান বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে তুলে নেন ৮২ রান।
এরপরও এই দুই ব্যাটারের চলে তাণ্ডব। দুজনই তুলে নেন শতক। গড়েন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের ওপেনিং জুটি ২৫৯ রান। এর আগে ২০১১ বিশ্বকাপে কানাডার বিপক্ষে ১৮৩ রান ছিল এতদিন সেরা।
২৫৯ রানের পর ভাঙে এই জুটি। মিচেল মার্শকে ফেরান আফ্রিদি। আউট হওয়ার আগে মার্শ করেন ১০৮ বলে ১২১ রান। যেখানে ১০ চারের সঙ্গে রয়েছে ৯টি ছয়। তার ক্যাচটি ধরেন সেই উসামা মীর যিনি ওয়ার্নারের দুবার ক্যাচ ছেড়েছেন। অবশ্য মার্শের পরের বলেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ফেরান আফ্রিদি। ম্যাক্সওয়েল ফেরেন গোল্ডেন ডাকে।
এরপর বেশিক্ষণ উইকেটে ম্যাক্সওয়েলকে সঙ্গ দিতে পারেননি স্টিভ স্মিথ। দলীয় ২৮৪ রানের সময় ৭ রান করা স্মিথকে ফেরান উসামা মির।
তবে একপাশ আগলে রেখে পাকিস্তান বোলারদের বেধড়ক পেটাচ্ছেন ওয়ার্নার। এরই মাঝে করে ফেলেছেন দেড়শ রান। তবে দেড়শ করার পর নিজের স্কোরটা বড় করতে পারেননি। ১৬৩ রান করা ওয়ার্নারকে ফেরান হারিস রউফ। যার ওপর দিয়ে আজ ব্যাট হাতে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার বেশি তাণ্ডব চালিয়েছেন। ১৬৩ রানের ইনিংসটি ওয়ার্নারের সাজানো ছিল ৯ ছয় ও ১৪ চারে।