এশিয়া কাপের সুপার ফোরে উঠার মিশনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কঠিন সমীকরণ নিয়ে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। লঙ্কানদের দেওয়া ২৯২ রানের টার্গেট জিততে হতো ৩৭.১ ওভারে যেটা প্রায় অসম্ভব মনে হচ্ছিল আফগানদের জন্য। কিন্তু তারা এই অসম্ভবকেই প্রায় সম্ভব করে ফেলেছিল। শুধু তাদের জেতা হয়নি নেট রানরেটের হিসেব-নিকেস না জানার কারণে। আফগান কোচ জনাথন ট্রট জানান নেট রানরেটের হিসেব-নিকেস নিয়ে তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।
এদিন আফগানদের সামনে শেষ সাত বলে প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। ৩৭তম ওভারে রশিদ খান তিন চারে নেন ১২ রান। এরপর সমীকরণ ছিল এক বলে তিন রানের। কিন্তু মুজিব উর রহমান হয়ে যান আউট। তখনও অবশ্য সুযোগ ছিল আফগানদের। ছক্কা মেরে তাদের সংগ্রহটাকে নিয়ে যেতে হতো ২৯৫তে, তাহলেই সুপার ফোরে যেতে পারতো তারা। কিন্তু এমন সমীকরণ উইকেটে থাকা রশিদ খানের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয় তিনি জানতেন না এই সমীকরণ।
ম্যাচে শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন আফগান কোচ। তার অবশ্য দাবি ‘যোগাযোগ’ করা হয়নি। কিন্তু সেটি কার দায়িত্ব তা স্পষ্ট করেননি তিনি। ট্রট বলেন, “আমাদের সঙ্গে এমন হিসাব নিয়ে কখনও যোগাযোগ করা হয়নি। আমাদের বলা হয়েছিল ৩৭.১ ওভারে জিততে হবে। আমাদের সঙ্গে ২৯৫ বা যাই হোক, সেটা নিয়ে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।”
পরের তিন বলে ছক্কা মারলে সুপার ফোরে উঠার সমীকরণ কি তাহলে জানা ছিল না? এমন প্রশ্নের উত্তরে ট্রট বলেন, “এটা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো যোগযোগ হয়নি।”
এদিন মোহাম্মাদ নবী ৩২ বলে ৬৫ রান করে সুপার ফোরে উঠার স্বপ্ন দেখান আফগানদের। শেষ দিকে তারা ১০ বলে ১৬ রান না করতে পারায় প্রধান কোচ হতাশ হয়েছেন। কোচ বলেন,“নবী যখন এসেছিল, ডমিনেট করছিল এটা খুব ভালো ছিল। রহমত শাহ এসেও সুন্দর খেলছিল। আমাদের ম্যাচ জেতার সুযোগ ছিল। আমাদের জেতা উচিত ছিল সমীকরণের মধ্যে। বিশেষত যখন ১০ বলে ১৬ রান দরকার ছিল। তখন শুধু মাথা ঠাণ্ডা করে বলটাকে মাটিতে রাখলেই জিততে পারতাম।”
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও বল হাতে আলো ছড়াতে পারেননি দলের ভরসা দুই স্পিনার রশিদ খান ও মুজিব উর রহমান। প্রথমবারের মতো টানা দুই ম্যাচে তারা রান দিয়েছেন ৬ ইকনোমির বেশি। আফগান কোচ এ নিয়ে কথা বলেছেন। ট্রট বলেন, “আমি বলবো এখানে কোনো কারণ নেই। তারা প্রথম ম্যাচে ভালো বল করেছে। আজকে রশিদ লেন্থটা ঠিকমতো যখন করেছে, তখন স্পিনাররা এফেক্টিভ ছিল। আমরা কখনও লেন্থ ঠিক রাখতে পারিনি, কিছুটা ওয়াইড ছিল বল। আমার মনে হয় মুজিব পাওয়ার প্লেতে খুব ভালো বল করেছে। কিন্তু আমরা স্পিনারদের বাইরেও জানা উচিত। আমাদের অলরাউন্ডার, স্পিনার ও পেসারদের জন্যও পরিচিত হতে হবে।”