প্রথম ম্যাচে খাদের কিনারা থেকে আফিফ-মিরাজের জুটিতে জয়ের আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে আজ দ্বিতীয় ম্যাচের শুরু থেকেই জ্বলে উঠেছে স্বাগতিকরা। লিটন দাসের অনবদ্য সেঞ্চুরি ও মুশফিকুর রহিমের ৮৬ রানের ইনিংসের সঙ্গে তাদের ২০২ রানের জুটিতে আগে ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে ৩০৬ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ টাইগারদের।
আজকের ম্যাচে জিতলে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেলবে তামিম ইকবালের দল।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক তামিম।
ব্যাট করতে নেমে রানের খাতা সচল রাখেন দুই ওপেনার তামিম ও লিটন। তবে আগের ম্যাচের সেই ফজলে হক ফারুকীর ইনসুইংয়ে আবারও পরাস্ত হয়েছেন তামিম। ফজলের ভেতরে ঢুকা বলে এলবিডব্লিউ হয়ে আউট হয়ে যান তিনি। রিভিউ নিয়েও ফেরার আগে ২৪ বলে ১২ রান করেছেন তিনি।

পরে লিটনের সঙ্গে কিছুক্ষণের জন্য জুটি বাধেন সাকিব আল হাসান। তাদের ৪৫ রানের জুটি ভাঙে সাকিব আল হাসান রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়লে। ৩৬ বল খেলে ২০ রান করেন এই অলরাউন্ডার।
এরপর ক্রিজে আসেন উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। লিটনকে সঙ্গে নিয়ে শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন। তাদের দুজনের ২০২ রানের জুটি দলকে তিনশ রানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ১০৭ বলে লিটন তার ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি।

শেষ পর্যন্ত ১২৬ বলে ১৩৬ রানে থামে লিটনের ইনিংস। যেখানে তিনি ১৬টি চারের সঙ্গে হাঁকিয়েছেন ২টি বিশাল ছক্কার মার।
লিটনের সঙ্গী মুশফিকুর রহিমও দলের সংগ্রহে বড় অবদান রাখেন। ক্যারিয়ারের ৪১তম অর্ধশতক তুলে করেন ৯৩ বলে ৮৬ রান। ইনিংসটিতে ছিল ৯ টি চারের মার। এদিন ওয়ানডেতে সাকিবের (৬৬৩০) সরিয়ে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে যান মুশফিক (৬৬৭০)।

পরপর দুই বলেই এই জুটিকে আউট করেন বাঁহাতি পেসার ফরিদ আহমেদ। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও আফিফের ধীর গতির ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩০৮ রান করেছে বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের পক্ষে ফরিদ আহমেদ ২টি এবং ফজলে হক ফারুকী ও রশিদ খান নেন ১ টি করে উইকেট।







































