• ঢাকা
  • বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

৪১ বলে ১৪৪ রান–ভেঙে গেল টি-টোয়েন্টির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৪, ০৯:২৩ এএম
৪১ বলে ১৪৪ রান–ভেঙে গেল টি-টোয়েন্টির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড
সাহিলের ইনিংসের স্ট্রাইকরেট ছিল ৩৫১.২১

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলছে যুক্তরাষ্ট্র আর ওয়েস্ট ইন্ডিজে। সেখানে রানের দেখা খুব বেশি ম্যাচে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু এর বাইরে এক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আড়ালেই ভেঙে গেল টি-টোয়েন্টির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড!
টি-টোয়েন্টিকে বিশ্বের সবখানে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টায় প্রায় সব ম্যাচকেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিচ্ছে আইসিসি, তার প্রভাব এমন যে, টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ডের হিসাব রাখা দায় হয়ে পড়ছে। দ্রুততম সেঞ্চুরির আগের রেকর্ডটা যেমন, চার মাসও টিকল না।
নামিবিয়ার ইয়ান-নিকোল লফটি ইটন নেপালের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন ৩৩ বলে। সে রেকর্ড সোমবার (১৭ জুন) ভেঙে দিয়েছেন কে? এস্তোনিয়ার সাহিল চৌহান। প্রতিপক্ষ? সাইপ্রাস। মাত্র ২৭ বলে সেঞ্চুরি করেছেন সাহিল, শেষ পর্যন্ত দলকে জেতানোর পথে ৪১ বলে করেছেন অপরাজিত ১৪৪ রান।
শুধু দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডই নয়, ইনিংসে ১৮টি ছক্কা মেরেও রেকর্ড গড়েছেন ৩২ বছর বয়সী সাহিল, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি এক ইনিংসে কোনো ব্যাটসম্যানের সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড এটি।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) সাহিলের ইনিংসের কয়েকটি শটের একটি ক্লিপ শেয়ার করেছে ইউরোপিয়ান ক্রিকেট নামের অ্যাকাউন্ট। ভিডিওটি দেখলে একটি ব্যাপারই মাথায় আসতে বাধ্য–অফসাইডকে যেন ফুটবলের ‘অফসাইড’ই ভেবে রেখেছেন সাহিল, যা শট সবই খেলেছেন লেগ সাইডে নতুবা লং অন ও লং অফে।

চিত্র
ম্যাচের ধরনটাই বিস্ময়কর। এস্তোনিয়া আর সাইপ্রাসের ছেলেদের ও মেয়েদের দল আলাদা আলাদা সিরিজ খেলছে এই মুহূর্তে, ছেলেদের দলগুলো খেলছে ৬ ম্যাচের সিরিজ। একই দিনে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুটি ম্যাচ হয়েছে ঘণ্টাখানেকের বিরতিতে। সাহিল রেকর্ডটা গড়েছেন দ্বিতীয় ম্যাচে। মজার ব্যাপার, প্রথম ম্যাচে তিনি আউট হয়েছেন গোল্ডেন ডাকে!
দুই ম্যাচেই জিতেছে এস্তোনিয়া। সাহিলের রেকর্ড দেখা দ্বিতীয় ম্যাচে এস্তোনিয়াকে ১৯২ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল সাইপ্রাস। জবাবে ইনিংসের প্রথম ৮ বলে ৯ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারের বিদায় দেখে এস্তোনিয়া। এরপরই শুরু সাহিলের ঝড়।
ষষ্ঠ ওভারে চার ছক্কা আর একটি চার মেরে ১৪ বলে ফিফটিতে পৌঁছে যান সাহিল। সেটা অবশ্য রেকর্ড নয়, সে রেকর্ড নেপালের দীপেন্দ্র সিং আয়ারের (৯ বলে)। তা ফিফটিতে পৌঁছানোর পরও ছক্কাতেই যা কাজ সেরে যাচ্ছিলেন সাহিল। অষ্টম ওভারে মারলেন আরও চারটা ছক্কা, নবম ওভারে তিনটি। এর মধ্যে তৃতীয় ছক্কাটিতে হয়ে গেল বিশ্বরেকর্ড – ওই বলটি ছিল সাহিলের ইনিংসের ২৭তম ডেলিভারি, ওই ছক্কাতে হয়ে গেল তাঁর সেঞ্চুরি!
শেষ পর্যন্ত ১৩তম ওভারের মধ্যে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন সাহিল। তার ইনিংসের স্ট্রাইকরেট? অবিশ্বাস্য! ৩৫১.২১! এস্তোনিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর ২১!

Link copied!