চিলিতে অনুষ্ঠিত ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে মরক্কো। সোমবার (২০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায় চিলির এস্তাদিও ন্যাসিওনাল জুলিও মার্টিনেজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে হারিয়ে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছে দলটি। ১২ ও ২৯ মিনিটে গোল দুটি করেন জাবিরি।
ছয়বারের যুব বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ১৮ বছর পর ফাইনালে এসে আবারো স্বপ্ন ভঙ্গ হলো তাদের, অন্য দিকে প্রথমবাবের মত ফাইনালে ওঠা মরক্কো ইতিহাস গড়ল।
দীর্ঘ ১৮ বছর পর বিশ্বকাপের ট্রফি ছোঁয়ার সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। টুর্নামেন্ট জুড়ে অপরাজিত থাকা লাতিন পরাশক্তি দলটি ফাইনালে আসার পথে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। গ্রুপপর্বে ইতালি, অস্ট্রেলিয়া ও কিউবাকে হারিয়ে শীর্ষে থেকে নকআউটে ওঠে তারা। এরপর শেষ ষোলোতে নাইজেরিয়াকে ৪-০ গোলে, কোয়ার্টারে মেক্সিকোকে ২-০ তে এবং সেমিফাইনালে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পায় আলবিসেলেস্তেরা।
অন্যদিকে মরক্কো শুরুতে কিছুটা ধাক্কা খেলেও (গ্রুপ পর্বে মেক্সিকোর কাছে ১-০ গোলে হার) পরে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। গ্রুপে মেক্সিকো ও স্পেনের সঙ্গে পরের রাউন্ডে উঠেছিল তারা, যেখানে বাদ পড়ে ব্রাজিল। এরপর সেরা ষোলোতে সাউথ কোরিয়াকে ২-১, কোয়ার্টারে যুক্তরাষ্ট্রকে ৩-১ গোলে হারায় মরক্কো। সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ১-১ ড্রর পর পেনাল্টিতে ৫-৪ ব্যবধানে জয় পেয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে জায়গা করে নেয় আফ্রিকার দলটি।
পুরো আসরে আর্জেন্টিনা গোল করেছে ১৫টি, হজম করেছে মাত্র ২টি। মরক্কো করেছে ১০টি গোল, হজম করেছে ৫টি। আর্জেন্টিনার হয়ে আলেজো সারকো ৪ গোল নিয়ে এগিয়ে, মাহের ক্যারিজো ও মাতেও সিলভেটি করেছেন ৩টি করে গোল। মরক্কোর হয়ে সর্বাধিক ৩ গোল করেছেন ইয়াসির জাবিরি।
২০১৬ সালে সর্বশেষ দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে আর্জেন্টিনা ৩-০ গোলে হারিয়েছিল মরক্কোকে।