সোমবার এশিয়া কাপের শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে ভারত। একে তো মহাদেশ সেরায় চ্যাম্পিয়ন, তার ওপর ভারত জয় পেয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে তাই সূর্যকুমারদের উদযাপনের মাত্রা কয়েক গুণ বাড়ার কথা।
ভারত রোববার মাঠ ছেড়েছে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ছাড়াই! এমনকি ট্রফি ছাড়াই উদযাপন ও ফটোশুট করেন সূর্যকুমার-তিলক বর্মারা।
তা ভারত কেন ট্রফি ছাড়া উদযাপন করল? এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বর্তমান সভাপতি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) প্রধান মহসীন নাকভি। তার আরও একটা পরিচয় আছে। তিনি পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবে এসিসি চেয়ারম্যানের হাত থেকে শিরোপা নেওয়ার কথা ভারত দলের।
ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পিসিবি সভাপতি বা পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাত থেকে শিরোপা নিতে অস্বীকৃতি জানায় ভারত দল। সেটা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই জানিয়ে দেয় ভারত। অন্যদিকে নাকভিও এককভাবে ট্রফি দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। এতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান এক ঘণ্টার বেশি পিছিয়ে যায়। অচলাবস্থায় শেষ পর্যন্ত টিভি সম্প্রচার শুরুর আগেই মাঠ থেকে ট্রফি সরিয়ে নেওয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণী শুরু হওয়ার পর তিলক বর্মা, আভিষেক শার্মারা ব্যক্তিগত সেরার পুরস্কার নেন স্পন্সরশিপ প্রতিনিধিদের থেকে। পাকিস্তান দল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের কাছ থেকে রানার্সআপ মেডেল নিয়ে সরাসরি ড্রেসিংরুমে ফেরত যায়। অন্যদিকে ভারত দল চ্যাম্পিয়ন শিরোপা তো বটেই, মেডেলও নেয়নি।
ক্রিকবাজ জানিয়েছে, ভারত দল ও নাকভি নিজ নিজ দাবিতে অনড় থাকায় যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল, তাতে নাকভিসহ ৩৫ মিনিটের বেশি সময় মঞ্চে অপেক্ষায় ছিলেন উপস্থাপনা দলের সদস্যরা। এ সময় বেশ কয়েকবার নাকভিকে দীর্ঘ ফোনালাপে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, এক পর্যায়ে আমিরাত বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান খালিদ আল জারুনি ও বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম ভারতের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ভারত দল সে প্রস্তাবে রাজি হলেও নাকভি নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। তাতে শেষ পর্যন্ত ট্রফি ছাড়াই উদযাপন করতে হয় সূর্যকুমারদের।