পিএসজি ছেড়ে ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপের স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়া এই মৌসুমে ফুটবল বিশ্বের অন্যতম চর্চিত দল বদল। কিন্তু চার মাস যেতে না যেতেই স্পেনের ক্লাবে বিরক্ত হয়ে গেলেন ফ্রান্সের ফুটবল অধিনায়ক। তিনি নিজের পছন্দের জায়গায় খেলতে পারছেন না। তাতেই সমস্যা হচ্ছে।
সাধারণত এমবাপে খেলেন আক্রমণভাগের বাঁ প্রান্তে। ফুটবলের পরিভাষায় যাকে লেফট উইং বলা হয়। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদে সেই জায়গায় খেলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। এমবাপে মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার আগে থেকেই ভিনি সেখানে খেলছেন। কোচ কার্লো অ্যান্সেলোত্তি এমবাপেকে খেলাচ্ছেন মাঝ খানে। মূল স্ট্রাইকার হিসাবে। সেটা মেনে নিতে পারছেন না বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার।
এই মৌসুমে সাতটি গোল করে ফেলা এমবাপে এখনও দলকে অপরাজেয় করতে পারেননি। বরং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দু’টি ম্যাচ হারতে হয়েছে মাদ্রিদকে। লা লিগায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার বিরুদ্ধে হারতে হয়েছে ০-৪ গোলে। সমর্থকেরাও এমবাপেকে নিয়ে খুশি হতে পারছেন না।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি মাদ্রিদে এমবাপে বিরক্ত এবং নিজেকে দলের স্ট্রাইকার হিসাবে দেখছেন না তিনি। এমবাপে সেন্টার ফরওয়ার্ড হিসাবে খেলতেও রাজি নন। কিন্তু কোচের কিছু করার নেই। কারণ ভিনি এবং এমবাপে একই ধরনের ফুটবলার। ভিনিকে সেন্টার ফরওয়ার্ড হিসাবে খেলাতে রাজি নন কোচ। ডান প্রান্তে খেলতে স্বচ্ছন্দ নন ভিনি। তাই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এমবাপেকেই।
রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ফুটবলার করিম বেনজেমা এক সময় দলের স্ট্রাইকার হিসাবে খেলতেন। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সাবেক সতীর্থ বলেন, ‘এমবাপে সেন্ট্রাল ফরওয়ার্ড নয়। তাতেই সমস্যা হচ্ছে। সেই জায়গায় তাকে খেলানো হচ্ছে। কিন্তু ওটা ওর জায়গা নয়। মাদ্রিদে বাঁ প্রান্তে যে খেলে, সেই ভিনিসিয়াস আবার এমবাপের মানের ফুটবলার। তাকেও ডান প্রান্তে বা মাঝ খানে খেলানো সম্ভব নয়। আর বাঁ প্রান্তে খেললে ভিনি দলকে অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপহার দিয়েছে। কিন্তু এমবাপেও সেন্ট্রাল ফরওয়ার্ড নয়। ওর উপর প্রত্যাশার চাপও রয়েছে। এই চাপ প্যারিসে ছিল না।’
লা লিগায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার সঙ্গে নয় পয়েন্টের তফাত।







































