• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শহর বা গ্রাম, আগে তো যোগ্য হতে হবে


প্রভাষ আমিন
প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২২, ০২:৩৯ পিএম
শহর বা গ্রাম, আগে তো যোগ্য হতে হবে

হঠাৎ করে চেনাজানা নিয়ে দারুণ শোরগোল বাংলাদেশের জনপরিসরে। কদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার শেন ওয়ার্নের অকাল মৃত্যুর পর আমার বন্ধু ব্রাত্য রাইসু ফেসবুকে লিখলেন, ‘শেন ওয়ার্ন কে? চিনি না।’ তার এই স্ট্যাটাস নিয়ে ফেসবুকে তোলপাড়। রাইসুকে যারা চেনেন না, তারা গালির ফোয়ারা বইয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আমি জানি, রাইসু হয়তো শেন ওয়ার্নকে চেনেন। কিন্তু সবকিছু অস্বীকার করার একটা প্রবণতা তার আছে। রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে লতা মুঙ্গেশকর, কবির সুমন; সবাইকে বাতিল করে দেওয়াতেই তার আনন্দ। তবে পৃথিবীর সবাই শেন ওয়ার্নকে চিনবে বা লতার গান সবার ভালো লাগবে, এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই। লতার গান রাইসুর ভালো না-ই লাগতে পারে, শেন ওয়ার্নকেও তিনি না-ই চিনতে পারেন। তবে চেনাজানার জগতে সুনামি বয়ে গেল গত সপ্তাহে স্বাধীনতা পুরস্কার ঘোষণার পর। এবার সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন আমির হামজা। ঘোষণার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে তোলপাড়—সবাই বলছেন, তারা আমির হামজাকে চেনেন না। তবে রাইসুর শেন ওয়ার্নকে না চেনার সঙ্গে সবার আমির হামজাকে না চেনায় বিশাল ফারাক। সত্যি বলতে, আমির হামজার নাম আমিও কখনো শুনিনি। কিন্তু স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া একজন সাহিত্যিককে আমি চিনি না, এটা বললে আমি যে মূর্খ, সেটা লোকজন জেনে যাবে; সেই ভয়ে আমি চুপ ছিলাম। পরে দেখি আমার চারপাশে আমার মতো মূর্খদেরই ভিড়—আমার চেনাজানা কেউই আমির হামজাকে চেনেন না। তবে আমি না চিনলেই কেউ স্বাধীনতা পুরস্কার পেতে পারবেন না, মূর্খ হলেও এমন হীনম্মন্যতা আমার নেই। আমাদের চেনাজানার বাইরেও বিশাল জগৎ আছে। গ্রামবাংলার পথে-প্রান্তরে কত কবি-সাহিত্যিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আমরা তার কতটা খবর রাখি। হতে পারে, আমির হামজা তেমনই একজন অবহেলিত প্রতিভা। স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার কমিটি হয়তো সাগর সেঁচে সেই মুক্তো তুলে এনেছে। হতে পারত প্রচারের আড়ালে থাকা একজন গ্রামীণ কবিয়ালকে পুরস্কৃত করে সরকার ভালো কাজই করেছে। সব সময় যে শহরের চেনা গণ্ডির কবি-সাহিত্যিকদেরই পুরস্কার দিতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু প্রচারের আলোর একদম বাইরে থাকা আমির হামজা হঠাৎ চলে এলেন আলোচনার কেন্দ্রে। গণমাধ্যমে চুলচেরা বিশ্লেষণ, অনুসন্ধান—কে এই আমির হামজা? কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে এখন অজগর বেরিয়ে আসছে। অজগরের খোঁজে যাওয়ার আগে আমির হামজা সম্পর্কে কিছু প্রাথমিক তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

আমির হামজা ১৯৩১ সালে ১০ নভেম্বর মাগুরা জেলার শ্রীপুরের বরিশাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। প্রকাশিত বইয়ের ফ্ল্যাপে তার সম্পর্কে বলা হয়েছে, “আমির হামজা একাধারে কবি, গীতিকার, সুরকার ও গায়ক। তিনি প্রতিযোগিতামূলক কবিগান ও পালাগান করে অনেক খ্যাতি অর্জন করেছেন। তার এটা ছিল অনন্য বৈশিষ্ট্য; তিনি গানের আসরেই গান লিখে, সুর করে, শিল্পী হয়ে তা পরিবেশন করতে পারতেন। তার কবি জীবনের অপর বৈশিষ্ট্য হলো তিনি তাৎক্ষণিক দেশ ও জাতির হয়ে এমন গান-কবিতা লিখতেন, যা শ্রোতারা তার কাছে আশা করত। তিনি ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে শ্রীপুর বাহিনীতে যোগ দিয়ে গৌরবময় ভূমিকা পালন করেন।”

স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ার পর এখন আমির হামজাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার যে ঝড়, তিনি অবশ্য এসবের ঊর্ধ্বে উঠে গেছেন। ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি ৮৭ বছর বয়সে তিনি পরলোকে পাড়ি জমিয়েছেন। তাকে স্বাধীনতা পুরস্কার পাইয়ে দেওয়া, আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে নিয়ে দায় বা কৃতিত্ব তার ‘যোগ্য সন্তান’ মো. আছাদুজ্জামানের। আমির হামজা নিজেই তার এই ছেলের কথা লিখে রেখে গেছেন ‘বাঘের থাবা’ কাব্যগ্রন্থে ‘যোগ্য সন্তান’ কবিতায় : “ছয়টি পুত্র সন্তান আমাকে আল্লাহ করেছে দান/তাদের মধ্যে দ্বিতীয় পুত্র আছাদ তাহার নাম।” মো. আছাদুজ্জামান সত্যিই যোগ্য এবং কামেল সন্তান। পিতাকে জাতে তুলতে তিনি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়েছেন এবং আপাতত সফল হয়েছেন।

‘বাঘের থাবা’ বইয়ের ফ্ল্যাপ অনুযায়ী “বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য কবিকে ‘সারথী ফাউন্ডেশন সম্মাননা ২০১৫’ প্রদান করা হয়।” মজার কথা হলো, যখন তাকে বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য সারথী ফাউন্ডেশন সম্মাননা দেয়, তখনো তার কোনো বই প্রকাশিত হয়নি। সারথী ফাউন্ডেশন শ্রীপুরভিত্তিক একটি সংগঠন। ধারণা করি, এটিও তার যোগ্য সন্তান আছাদুজ্জামানেরই বানানো। পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালে সারথী ফাউন্ডেশন প্রথম আমির হামজার কাব্যগ্রন্থ ‘বাঘের থাবা’ প্রকাশ করে। বইটির মুদ্রণ ব্যবস্থাপনায় ছিল ঝিনাইদহের বেগবতী প্রকাশনী। আর আমির হামজার যোগ্য সন্তান আছাদুজ্জামান তখন ছিলেন ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। বর্তমানে উপসচিব পদমর্যাদায় খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী। এক বছরের মধ্যেই ‘বাঘের থাবা’ পুনঃপ্রকাশিত হয় অভিজাত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘অন্যপ্রকাশ’ থেকে। তবে সারথী ফাউন্ডেশন প্রকাশিত ‘বাঘের থাবা’ বইয়ের গান অংশ আলাদা করে ‘পৃথিবীর মানচিত্রে একটি মুজিব তুমি’। এক বছরের মধ্যেই এক বাঘের থাবা দুই ভাগ হয়ে দুটি বই হয়ে যায়। ২০২১ সালে প্রকাশিত হয় আমির হামজার তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘একুশের পাঁচালি’। তবে আমির হামজা মৃত্যুর আগে শুধু ‘বাঘের থাবা’ই দেখে যেতে পেরেছিলেন।

ঢাকার অভিজাত প্রকাশনী থেকে তিনটি বই প্রকাশের পর আছাদুজ্জামান প্রবেশ করেন তার পরিকল্পনার চূড়ান্ত পর্বে। শোনা যাক আছাদুজ্জামানের ভাষ্যেই, “স্বাধীনতা পদকের জন্য তো একটা নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করা লাগে। আমরা সেটা করেছিলাম। এরপর যেকোনো স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি অথবা সরকারের যেকোনো সচিবের সেই আবেদনের পক্ষে সুপারিশ লাগে। আমার বাবা আমির হামজার জন্য সুপারিশ করেছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ স্যার।”

আছাদুজ্জামানের এই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা সাফল্যের দেখা পায়, গত ১৫ মার্চ যখন সাহিত্যের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকায় আমির হামজার নাম উঠে এলে। ২০১৫ সালে সারথী ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান, ২০১৮ সালে প্রথম সারথী ফাউন্ডেশন থেকে বই প্রকাশ। পরের বছর সেই বই থেকে কবিতা ও গান আলাদা করে ‘অন্যপ্রকাশ’ থেকে দুটি বই প্রকাশ। তার দুই বছর পর আরও একটি বই প্রকাশ। স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য আবেদন এবং একজন সিনিয়র সচিবকে দিয়ে তাতে সুপারিশ করানো। আছাদুজ্জামান আমির হামজার যোগ্য সন্তানই বটে। যারা তাদের পিতাকে স্বাধীনতা পুরস্কার পাইয়ে দিতে চান, তারা ধাপগুলো মনে রাখবেন নিশ্চয়ই।

স্বাধীনতা পুরস্কার ঘোষণার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমির হামজাকে নিয়ে যে নিষ্ঠুর উপহাস ও ব্যঙ্গ করা হচ্ছে, তা বেদনাদায়ক। আমি এই পুরস্কার কেলেঙ্কারিতে আমির হামজার কোনো দায় দেখি না। তিনি মনের আনন্দে লিখেছেন, সুর করেছেন, গেয়েছেন। তিনি কোনো স্বীকৃতি বা পুরস্কারে জন্য লেখেনওনি, পুরস্কার কারও কাছে চানওনি। দায় বা কৃতিত্ব তার ‘যোগ্য সন্তান’ আছাদুজ্জামানের। তবে আছাদুজ্জামানের এই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাকে আমি অন্ধ পিতৃভক্তি হিসেবে বেনিফিট অব ডাউট দিতে চেয়েছিলাম। কেন দিচ্ছি না, সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারকে এমন হাস্যকর করে তোলার অপরাধ পুরস্কার কমিটির। ২০২০ সালেও এস এম রইজ উদ্দিন আহম্মদ নামের একজনকে সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়ে সমালোচনার মুখে আবার তা প্রত্যাহারও করা হয়েছিল। মাত্র দুই বছর আগের এই কেলেঙ্কারি থেকেও শিক্ষা নেয়নি পুরস্কার প্রদান কমিটি। কেউ একজন আবেদন করলেই কমিটি কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়া তাকে সেটা দিয়ে দেবে, এটা বিস্ময়কর! ১৯৭৭ সালে প্রবর্তিত স্বাধীনতা পুরস্কারের সাহিত্য শাখায় আমির হামজার আগে ৩৫ জন এ সম্মাননা পেয়েছেন। তার মানে বাংলা সাহিত্যে অবদান রাখা ৩৬তম যোগ্য ব্যক্তি আমির হামজা! স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার প্রক্রিয়াটি আমলানির্ভর। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া আবেদনের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করে আমলারা কমিটির কাছে সুপারিশ করেন। কমিটি সেখান থেকে যোগ্য ব্যক্তিকে বেছে নেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বাধীন কমিটিতে রয়েছেন মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্যরা। আমির হামজার পুরস্কার বাতিলের দাবির পাশাপাশি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই পুরস্কার কেলেঙ্কারির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও উঠে আসছে।

এবার বলি আছাদুজ্জামানকে কেন বেনিফিট অব ডাউট দেওয়া গেল না। পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী আমির হামজা একটি খুনের মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ড পেয়েছিলেন। ৮-৯ বছর কারাভোগ শেষে ১৯৯১ সালের পর বিএনপি ক্ষমতায় এলে তখনকার প্রভাবশালী নেতা মেজর জেনারেল (অব.) এম মজিদ-উল-হকের তদবিরে তিনি মুক্তি পান। আছাদুজ্জামান নিশ্চয়ই স্বাধীনতা পুরস্কারের আবেদনে তার পিতার খুনের মামলায় দণ্ডিত হওয়ার তথ্য উল্লেখ করেননি। তথ্য গোপন করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আগেই বলেছি, পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি গ্রামে থাকেন না শহরে, আমি বা আমরা তাকে চিনি কি চিনি না, তাতে আসলে কিছুই যায় আসে না। একটাই বিবেচ্য, তিনি পুরস্কার পাওয়ার মতো যোগ্য কি না। সাহিত্যমান বিচারের যোগ্যতা আমার নেই। তবে আমির হামজার প্রকাশিত তিনটি বই মোটামুটি পড়ে আমার মনে হয়েছে, তিনি কোনোভাবেই স্বাধীনতা পুরস্কার তো অনেক পরে, সাহিত্যের কোনো শাখাতেই তা পুরস্কার পাওয়ার মতো মানসম্পন্ন নয়। অতি নিম্নমানের স্তুতিবাক্য ছাড়া আর কিছু নেই তার লেখায়। যারা আমির হামজার পক্ষে, যারা সোচ্চার, তাদের অনুরোধ করছি, আগে তার লেখা পড়ুন। আমির হামজার অধিকাংশ লেখাই বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন নিয়ে লেখা। বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা এবং বর্তমান সরকারের সমর্থক হিসেবে আওয়ামী লীগ বা বঙ্গবন্ধু পরিষদ তাকে সংবর্ধনা দিতে পারে, কিন্তু সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার নয়। বঙ্গবন্ধুকে নিয়েই লেখাই নিশ্চয়ই স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা নয়। তার চেয়ে বড় কথা হলো, মহাকাব্যিক চরিত্র বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক উন্নত সাহিত্যমানের গান, কবিতা, গল্প, উপন্যাস লেখা হয়েছে। শুধু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বিবেচনায় নিলেও আমির হামজা পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য নন। প্রকাশিত বই তিনটিতে শুধু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমির হামজার লেখাগুলোই ঠাঁই পেয়েছে। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে, স্বভাবকবি আমির হামজা জিয়াউর রহমানকে নিয়েও গান লিখেছেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান লিখলে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে লেখা যাবে না, এমন কোনো কথা নেই। আমির হামজা হয়তো রাজনৈতিক বাস্তবতা মেনে শ্রোতাদের চাহিদা অনুযায়ী লিখেছেন, গেয়েছেন। কিন্তু চতুর আমির হামজা সযতনে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে লেখাগুলো বাদ দিয়েছেন।

গ্রামের একজন স্বভাব কবি, যিনি মনের আনন্দে গান লিখেছেন, সুর করেছেন, গেয়েছেন; মৃত্যুর পর তার এই অবমাননায় আমার খুব খারাপ লাগছে। পুরো ঘটনায় তার কোনোই দায় নেই। অতি চতুর পুত্রের জন্য আজ তাকে মরণোত্তর অবমাননা সইতে হচ্ছে। আর আছাদুজ্জামান তার পিতাকে সম্মানিত করতে গিয়ে আজ তার অতীত অপরাধের দণ্ডের বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দিলেন। আমির হামজা নয়, যারা তাকে পুরস্কৃত করেছে, উপহাস, ব্যঙ্গ, ঘৃণা তাদের প্রাপ্য। দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা নিয়ে এই ছেলেমানুষি বন্ধ হোক, দায়ীদের শাস্তি হোক। ভবিষ্যতে যোগ্য লোকদের জীবিত অবস্থায় সম্মানিত করা হোক। আর যোগ্য লোকদের খুঁজে বের করার যোগ্যতা না থাকলে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া বন্ধ করা হোক।

Link copied!