যাহা যাহা ভাবিয়াছি তাহা তাহা লিখিয়াছি, বাদ দেই নাই কিছু।
যাঁহাদের পাশে বা দাঁড়াইবার ডাক আসিয়াছে দাঁড়াইয়াছি।
—এবগেনি এবতুশেংকো
১৯৯০ দশকের প্রথম দিকে ‘মূর্খকরণ প্রক্রিয়া’ নামে একটা প্রবন্ধ লিখেছিলাম। সেই সময়ে প্রবন্ধটির মূল বিষয় ছিল কীভাবে বাংলাদেশে সামরিক শাসন, সন্ত্রাস, মাদক ও এনজিও মূর্খকরণ প্রক্রিয়া উদ্ভাবন ও বিকশিত করছে। সময় অনেক হয়েছে। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হয়েছে। পদ্মা নদীতে সেতু নির্মিত হয়েছে। দেশে অনেক সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মূর্খকরণ প্রক্রিয়া আরও প্রসারিত হয়েছে। ভাষা আন্দোলনের চেতনা, রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা ও সংবিধানে ঘোষিত প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষার ব্যবহার দিন দিন অদৃশ্য হচ্ছে। মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা ও সাম্যের ভাবনা ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। চারদিকে কুকুর ঘেউ ঘেউ করছে।
হক কথায় ঠক বেজার!
গরম ভাতে কুকুর বেজার!!
হায়! ঘায়! একি আজব আচার!
চোর-ডাকাত- মূর্খ করে সাধুর বিচার!!
কিছুদিন আগে মাননীয় মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগে ‘কাক’ অনুপ্রবেশ করেছে। আসলে তিনি বলতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগে রাজনৈতিক কাক, কোকিল ও কুকুর ঢুকেছে। সেই সব রাজনৈতিক কাক, কোকিল ও কুকুর জোটবদ্ধ হয়েছে। দেশের চিন্তার জগতে নতুন কোনো প্রতিভার উদয় হলে এসব রাজনৈতিক কাক, কোকিল ও কুকুর সংঘবদ্ধ ভেলকিবাজি শুরু করে। এই তিন প্রজাতির জোট দেখে জোনাথন সুইফটের কথা স্মরণে আসে। তিনি বলেছেন:
‘দুনিয়ায় যখন কোনো বড় মাপের প্রতিভার আবির্ভাব হয়, আপনি তাহা এই আলামত দেখিয়া বুঝিতে পারবেন : দেখিবেন দুনিয়ার সকল গো-শাবকই তাহার বিরুদ্ধে মহাজোট বাঁধিয়াছে।’ (উদ্ধৃত, র্যাটক্লিফ ২০১০:১২০)
বর্তমানে বাংলাদেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং রাজনীতি সবখানেই হাইব্রিড, কাক, কোকিল ও কুকুর অন্যতম আলোচ্য বিষয়। এমনকি করোনাজনিত মৃত্যুকেও চাপা দিচ্ছে এসব কাক, কোকিল ও কুকুরের ধারাবাহিক ডাকাডাকি। আমাদের এ কথাও স্মরণ রাখতে হবে, সামনে ভাদ্র মাস। কুকুরের যৌবনকাল। পৃথিবীর অন্য কোথাও রাজনৈতিক কাক, কোকিল ও কুকুর নিয়ে এত পরিমাণ রাজনৈতিক আলোচনা ও বিতর্ক আছে কি না, সন্দেহ আছে।
সত্য অনেক মানুষকে কাছে টানে। সত্য আবার মানবসমাজকে ঐক্যবদ্ধও করে। জ্ঞান ও সত্যের আহ্বান অবশ্যই মহান। তবে সমস্যা হলো বাংলাদেশে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে সামরিক শাসনের আমলে অল্প সময়ে সমাজ ও সরকারের মধ্যে স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, রাজনৈতিক কাক, কোকিল ও কুকুর ঢুকে পড়েছে। আর অসত্য, অন্ধকার ও মূর্খতার বিস্তার ঘটায়। বিষয়টা কিছুটা তলিয়ে দেখা দরকার। বর্তমানে আমাদের সমাজ কোন দিকে যাচ্ছে? যে চেতনা, যে আদর্শ, যে সাম্যের দাবি ও যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, ঠিক সেই পথে কি যাচ্ছে? বাংলাদেশ জ্ঞানবিজ্ঞানে কোথায় যাওয়ার কথা আর যাচ্ছে কোথায়? শিক্ষার মান, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মান বিশ্বমানদণ্ডে কোথায় তলিয়ে যাচ্ছে? রাজনৈতিক কাক, কোকিল ও কুকুরের দাপটে মূর্খকরণ প্রক্রিয়া প্রবল থেকে প্রবলতর হচ্ছে।
বাংলাদেশে বর্তমানে রাজনীতি থেকে জ্ঞান ও জ্ঞানী অনেক দূরে সরে গেছে অথবা বলা যায় জ্ঞান ও জ্ঞানীকে বিতাড়ন করা হয়েছে। আর রাজনীতির সাথে সাথে এখন শিল্প, সংস্কৃতি ও সাহিত্যও মূর্খদের কবলে অর্থাৎ রাজনৈতিক কাক, কোকিল ও কুকুরের দখলে। এসব রাজনৈতিক কাক, কোকিল ও কুকুর অতি চালাক, চোর, বেয়াদব ও শয়তান। রাজনৈতিক কাক, কোকিল ও কুকুরের চরিত্র নিয়ে আলোচনা করেছেন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলম চৌধুরী। তিনি বলেন:
এ কাক ধুরন্ধর ফন্দিবাজ। অন্যান্য যেকোনো পাখির চেয়ে বদমতলবাজ। চোর শয়তান। বেয়াদবও। পরের জিনিসের প্রতি নিত্য কুচাহনি থাকে। মওকামতো পেলে পরের জিনিস ছোঁ মেরে নিয়ে যাওয়ার মতো ঝটিকা পার্টির সদস্য কাক ছাড়া দ্বিতীয়টি আর নেই। এই কাক প্রজাতি বড় ধাপ্পাবাজ (চৌধুরী ২০১৮: ৬৩)।
বাংলা সাহিত্য আসলে একটা বড় রসভাণ্ডার। রস ও রসিকতার কোনো অভাব নেই, যদি না চোখ কান খোলা রাখা যায়। অধ্যাপক আলম চৌধুরী আরও বলেন: কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এ কাকের বাসায় ডিম পেড়ে যায় কোকিল, কাক ডিমে তা দেয়। বাচ্চা ফোটায় (চৌধুরী ২০১৮: ৬৫)। বাংলাদেশে প্রায় সময়েই একটা মৌসুমে ঝড়-বৃষ্টি-বজ্রপাত হয়। পরিবেশ বিপর্যয় ঘটে। আর তখনই গাছের ডালপালা ভেঙে কাকের বাসা বাচ্চাসহ ছিটকে পড়ে। সাথে সাথে কুকুরদল গফ করে কাকের ছানা-কোকিলের ছানা গিলে খায়।
বাংলাদেশে এই সময়ে সাহিত্য, সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে কাক, কোকিল ও কুকুর মিলে জোট বেঁধেছে। এদের ভদ্র নাম সুশীল সমাজ। সুশীল সমাজের নাম এলেই মানুষের চোখেমুখে হাসি পায়। এমন কেন হলো আজ বাংলাদেশে? অধ্যাপক আলম চৌধুরী বলেন:
কাকের মাস্তানির মতো বিচিত্র কায়দায় সাধু সেজে সমাজে একশ্রেণির মানুষ নীরবে ক্ষতিসাধন করে যাচ্ছে। তাদের ভণ্ডামি সাধারণ মানুষ উপলব্ধি করতে পারছে না। নিয়ত অসৎ কাজ করেও তারা সমাজে সম্মানিত হচ্ছে (চৌধুরী ২০১৮: ৬৬)।
বাংলাদেশে জ্ঞানের জগতে, চিন্তার জগতে এবং শিক্ষার জগতে যারা মূর্খকরণ প্রক্রিয়া জোরদার করছে তারাও কিন্তু মানুষরূপী প্রাণী। এরা অত্যন্ত ভয়ংকর ও নিষ্ঠুর। এসব মনুষ্য প্রজাতির চরিত্র সম্পর্কে ‘কারাগারের রোজনামচা’ নামক বইতে বঙ্গবন্ধু বলেন:
মানুষ যখন অমানুষ হয় তখন হিংস্র জন্তুর চেয়েও হিংস্র হয়ে থাকে (রহমান ২০১৮: ৭৪)।
বাংলাদেশের সংস্কৃতি, সাহিত্য ও রাজনীতি সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত সজাগ ছিলেন। রাজনীতি ও সংস্কৃতির এসব কাক, কোকিল ও কুকুর সম্পর্কে তাঁর পর্যবেক্ষণ ও মন্তব্য দারুণ জ্ঞানশীল। বর্তমান সময়ে তাঁর মতামত অধিকতর প্রাসঙ্গিক। বঙ্গবন্ধু লিখেছেন: আগাছাগুলিকে আমার বড় ভয়, এগুলি না তুললে আসল গাছগুলি ধ্বংস হয়ে যাবে। যেমন আমাদের দেশের পরগাছা রাজনীতিবিদ যারা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক তাদের ধ্বংস করে, এবং করতে চেষ্টা করে। তাই পরগাছাকে আমার বড় ভয় (রহমান ২০১৮: ১১৭)।
বাংলাদেশের মানুষের নাড়িনক্ষত্র জানতেন বঙ্গবন্ধু। তাই তো তিনি জাতির পিতা হতে পেরেছেন। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামী জীবনের আলোকে এই দেশের রাজনৈতিক কাক, কোকিল ও শিক্ষিত কুকুরদের চরিত্র জানতেন, যারা ব্যক্তির ক্ষুদ্রস্বার্থের জন্য কতটা জঘন্য হতে পারে। এদের লোভ ও লালসা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু বলেন: আমাদের দেশের এই শিক্ষিত চাকরিজীবীদের মধ্যে কিছুসংখ্যক লোক আছে পদোন্নতির জন্য তারা কত যে সংসার ধ্বংস করেছে। তার কি কোনো সীমা আছে? (রহমান ২০১৮: ১২৭)।
বঙ্গবন্ধু ভদ্রভাবে শিক্ষিত কাক, কোকিল ও কুকুরের কথা উল্লেখ করেছেন। তবে বাংলাদেশ স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরও বরং মূর্খ ভাসমান পরগাছা ও নিম্নপদস্থ কেরানির ঘেউ ঘেউ শব্দে চিন্তা ও শিক্ষাজগৎ দিন দিন কলুষিত হচ্ছে।
আগেই উল্লেখ করেছি রাজনৈতিক কাক, কোকিল ও কুকুর বঙ্গবন্ধুকে সারা জীবন কষ্ট দিয়েছে, নানা রূপে ও কৌশলে। এমনকি বঙ্গবন্ধু জেলজীবনেও রাজনৈতিক কাক, কোকিল কুকুরের জ্বালাতন সহ্য করেছেন; বঙ্গবন্ধু লিখিত ‘কারাগারের রোজনামচা’ নামক বইতে এসব কাক, কোকিল ও কুকুরের কথা আক্ষরিক অর্থে নয়, রূপক অর্থে গ্রহণ করলে বিষয়টা অধিকতর প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্ববহ হয়। বঙ্গবন্ধু লিখেছেন: বাইরে গাছের নিচে বসলেই কাক মহারাজরা বদকর্ম করে মাথা থেকে সমস্ত শরীর নষ্ট করে দেয়। জেলে কাকের উৎপাত একটু বেশি (রহমান ২০১৮: ১৪৩)।
বাংলাদেশ এখন স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি উৎসব পালন করছে। সেসব কাক, কোকিল ও কুকুর এখন কেন জেলখানায় উৎপাত করবে? এরা এখন জনজীবনে উৎপাত শুরু করেছে। বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক কাক, কোকিল ও কুকুর দ্বারা যেমন বিরক্ত হয়েছেন তেমনি সাথে সাথে ওদের বিতাড়ন করার চেষ্টাও করেছেন। তিনি এসব পশু প্রজাতি বিতাড়নের কৌশলও বলে দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন: ইটের গুঁড়া দিয়ে কাক বাহিনীদের আমি আক্রমণ করলেই ওরা পালাতে থাকে। আবার ফিরে আসে। কিছু সময় কাক মেরেও কাটাইয়া থাকি (রহমান ২০১৮: ১৪৩)।
সারা বিশ্বে এখন করোনাকাল চলছে। বাংলাদেশেও তাই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হোটেল-রেস্তোঁরা, বিবাহ উৎসব, অন্যান্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসব প্রায় দুই বছর যাবৎ বন্ধ আছে। বিশেষ করে নগরজীবনে হোটেল-রেস্তোঁরা ও বড় বড় রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বন্ধের কারণে উচ্ছিষ্ট খাবারের বড়ই অভাব। ফলে রাজনৈতিক কাক, কোকিল ও কুকুরের পাল খুবই অস্থির হয়ে পড়েছে। এদের চিৎকারে এখন নাগরিক জীবন চরম অতিষ্ঠ। তাই আমাদের এখন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এসব কাক, কোকিল ও কুকুর তাড়াতে হবে।
‘কারাগারের রোজনামচা’ বইটি গভীর মনোযোগ সহকারে পাঠ করলে যেকোনো জ্ঞানশীল মানুষ অবশ্যই ভাবতে বাধ্য হবেন, দেখতে পাবেন প্রকৃত অর্থেই বঙ্গবন্ধু একজন দূরদর্শী চিন্তাবিদ ছিলেন। তিনি সেই ১১ এপ্রিল- ১৩ এপ্রিল ১৯৬৭ সালেই স্বীকার করেছেন : কাকের কাছে আমি পরাজিত হয়েছি। আমার সামনে আমগাছ কয়টাতে কাক বাসা করতে আরম্ভ করে। আমি বাসা করতে দেব না ওদের। কারণ ওরা পায়খানা করে আমার বাগান নষ্ট করে, আর ভীষণভাবে চিৎকার করে। আমার শান্তি ভঙ্গ হয়। (রহমান ২০১৮ : ২১৯)
দেশের পরিবেশ-পরিস্থিতি অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক কাক, কোকিল ও কুকুরের জোটবদ্ধ চিৎকার মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। আশঙ্কা হয় এসব মুখোশধারী প্রাণী সমগ্র দেশের শান্তি ভঙ্গ করবে।
বঙ্গবন্ধু যেমন সংগ্রামী ও আশাবাদী ছিলেন আবার দূরদর্শী চিন্তাভাবনার কারণে দুর্যোগের আশঙ্কাও দেখতে পেতেন। শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জীবনে এসব রাজনৈতিক কাক, কোকিল ও কুকুর নির্মম ও নিষ্ঠুর আঘাত হানে। তাই তিনি ২০ জুন ১৯৬৬ সালে সংশয় প্রকাশ করে লিখেছেন: এই সুজলা-সুফলা বাংলাদেশ এত উর্বর, এখানে যেমন সোনার ফসল হয়, আবার পরগাছা আর আগাছাও বেশি জন্মে। জানি না বিশ্বাসঘাতকদের হাত থেকে এই সোনার দেশকে বাঁচানো যাবে কি না! (রহমান ২০১৮: ১১২)
আজ সত্যই দুর্ভাবনার কালো মেঘে বাংলার জ্ঞানবিজ্ঞানের আকাশ অন্ধকার হয়েছে আসছে। বিশ্বাসঘাতক বলতে বঙ্গবন্ধু এই রাজনৈতিক কাক, কোকিল ও কুকুরের পালকে বুঝিয়েছেন। এসব রাজনৈতিক কাক, কোকিল ও কুকুর বঙ্গবন্ধুর জীবন সংহার করেছে। আর বর্তমানে করোনাকাল মূর্খকরণ প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করেছে। এসব বিশ্বাসঘাতক ও ভাড়ায় চালিত কাক, কোকিল ও কুকুর দেশের সার্বিক চিন্তাজগৎ, মুক্তচিন্তা ও জ্ঞানের বিকাশকে প্রতিহত করতে হীনতর প্রয়াসে সংঘবদ্ধ হয়েছে। এসব রাজনৈতিক কাক, কোকিল ও কুকুরের পাল জ্ঞানবিজ্ঞান ও মুক্তচিন্তার শুরুতেই সক্রেটিস (খ্রি.পূ. ৪৭০-৩৯৯), ইবনে সিনা (৯৮০-১০৩৭), জাঁ জাক রুশো (১৭১২-১৭৭৮), কার্ল মার্কস (১৮১৮-১৮৮৩) এবং বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে (১৮৯৯-১৯৭৬) জ্বালাতন করেছে—সত্য বলার কারণে, অন্যায় ও অবিচারের প্রতিবাদ করার কারণে। কোন কোন প্রতিভাবান ব্যক্তিকে এসব রাজনৈতিক কাক, কোকিল ও কুকুর জ্বালাতন করে দেশত্যাগে বাধ্য করেছে। কাজী নজরুল ইসলামকে একসময় এরাই ‘কাফের’ ফতোয়া দিয়েছে। সামনে ভাদ্র মাস। কুকুরের যৌবনকাল। তাই তো বলি এই তো জ্ঞানবিজ্ঞানের আকাল। করোনাকাল: চারদিকে রাজনৈতিক কাক, কোকিল ও কুকুরের পাল।
বরাত
১. মোহাম্মদ আলম চৌধুরী, আহমদ ছফার সংসার, তৃতীয় চোখ, চট্টগ্রাম, ২০১৮।
২. শেখ মুজিবুর রহমান, কারাগারের রোজনামচা, বাংলা একাডেমি, ঢাকা, অষ্টম মুদ্রণ, ২০১৮।
৩. সলিমুল্লাহ খান, প্রার্থনা, (মধুপোক, ঢাকা, ২০১৯) পৃ. ১৫৫। এই পুস্তকে তিনি রুশদেশের কবি এবগেনি এবতুশেংকোর কবিতার এই দুটি চরণ অনুবাদ ও উদ্ধৃত করেছেন।
৪. Susan Ratcliffe, ed. The Oxford Dictionary of Quotation and ProverbÕs, Vol. 11, 21st ed. Oxford University Press, Oxford, 2010.
লেখক: সম্পাদক, প্রতিবুদ্ধিজীবী