শান্তিরক্ষা মিশনে কঙ্গো গেলেন ১৮০ নারী পুলিশ

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ পুলিশের ১৮০ নারী সদস্যের একটি ইউনিট। 

এর আগে রোববার (২ জানুয়ারি) রাতে নারী ফরমড পুলিশ ইউনিটটি বাংলাদেশ বিমানের একটি চার্টাড ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

কমান্ডার নাজমুন নাহারের নেতৃত্বে বর্তমান ব্যানএফপিইউ-১, রোটেশন-১৫, মনুসকো, ডিআরসি-এর সদস্যরা  ব্যানএফপিইউ-১, রোটেশন-১৪, মনুসকো, ডিআরসি ইউনিটকে প্রতিস্থাপন করবে।  

বিদায়ী ব্যানএফপিইউ-১ ইউনিটের কমান্ডার ছিলেন মেরিনা আক্তার। বিরাজমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এফপিইউটি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুনাম ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত আইজি (এইচআরএম) মাজহারুল ইসলাম, ডিআইজি (এইচআর) আবু হাসান মুহম্মদ তারিক, ডিআইজি (অপারেশনস ও অতিরিক্ত দায়িত্বে মিডিয়া অ্যান্ড প্ল্যানিং) হায়দার আলী খান, এআইজি (ইউএন অ্যাফেয়ার্স অপারেশনস) নাসিয়ান ওয়াজেদ  মিশনগামী সদস্যদের বিদায় জানান। 

কামরুজ্জামান আরও জানান, মানবতার কল্যাণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারকে ধারণ করে বাংলাদেশ পুলিশ ১৯৮৯ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করছে। বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা জাতিসংঘের আকাশ-নীল পতাকার পাশে উড্ডীন করছে এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা আর আফ্রিকা মহাদেশের দুর্গম প্রান্তরে। বিগত তিন দশকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদারিত্ব এবং কর্মদক্ষতা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে অকুণ্ঠ প্রশাংসা অর্জন করেছে।

এর আগে ২০০৫ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন মনুসকো- এ বাংলাদেশ পুলিশের ফরমড পুলিশ ইউনিট পাঠানো হয়। বাংলাদেশ পুলিশ ২০১১ সাল থেকে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে নারী ফরমড পুলিশ ইউনিট পাঠাচ্ছে। ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তারা ইনডিভিজ্যুয়াল পুলিশ অফিসার (আইপিও) হিসেবে মিশনটিতে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।

বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারির বৈশ্বিক সংকটময় পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ পুলিশের শান্তিরক্ষীরা নির্ভয়ে দৃঢ় মনোবল নিয়ে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, মালি, সাউথ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করছেন। 

এছাড়া বিশ্ব শান্তিরক্ষার মহান দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ পুলিশের ২১ জন গর্বিত সদস্য আত্মোৎসর্গ করেছেন।