সম্প্রতি স্ত্রীকে নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের লাইসেন্স করা দুটি অস্ত্র এবং তার স্ত্রীর লাইসেন্স করা একটি অস্ত্র নিরাপত্তাজনিত কারণে জমা নিয়েছে পুলিশ।
রোববার (৯ জানুয়ারি) ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি ইকরাম আলী মিয়া বলেন, “যেহেতু মুরাদের স্ত্রী তার বিরুদ্ধে নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে একটি জিডি করেছেন, তাই তার নিরাপত্তা নিশ্চিতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে মুরাদের লাইসেন্স করা অস্ত্রগুলো থানায় জমা দিতে বলি। থানার নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি গতকাল (শনিবার) এসে দুটি অস্ত্র জমা দিয়েছেন।”
এছাড়া তার স্ত্রীকেও তার লাইসেন্স করা অস্ত্র জমা দেওয়ার কথা বললে তিনিও শনিবার অস্ত্র জমা দিয়ে গেছেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনে তিনটি অস্ত্র জমা দিয়েছেন, যার মধ্যে একটি পিস্তল ও দুইটি শটগান বলে জানান তিনি।
ইকরাম আলী আরও বলেন, “যেহেতু জিডিতে নিরাপত্তাজনিত বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে তাই আমরা অস্ত্রগুলো জমা নিয়েছি। বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের অস্ত্রগুলো থানায় জমা থাকবে।”
গত ৬ জানুয়ারি মুরাদ স্ত্রী-সন্তানদের গালিগালাজ করে মারধর করতে গেলে তার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে সহায়তা চান। অভিযোগ পেয়ে ধানমন্ডি থানা পুলিশ তাদের বাসায় গেলে মুরাদ বাসা থেকে বের হয়ে যান। পরে মুরাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার স্ত্রী।
এর আগে বিএনপি নেতা তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে ফোনে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন মুরাদ হাসান। এরপর তাকে আওয়ামী লীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয়।
ওই সময়ে বিতর্কের মুখে দেশ ত্যাগ করলেও কানাডায় ঢুকতে না পেরে দেশে ফিরে আসেন তিনি। তারপর থেকেই আড়ালে রয়েছেন মুরাদ হাসান।