রাজধানীর রামপুরায় বাসের চাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দুটি মামলা করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দায়ের করা এই দুই মামলায় অজ্ঞাতনামা ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বাসচাপায় শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন নিহত হওয়ার পর উত্তেজিত জনতা কয়েকটি বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। একটি মামলায় ২৫০ থেকে ৩০০ জন এবং অপরটিতে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া নিহত শিক্ষার্থীর মা রাশেদা বেগম বাদী হয়ে নিরাপদ সড়ক আইনে একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় অনাবিল পরিবহনের বাসচালককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টায় ডিআইটি রোডে সোনালী ব্যাংকের সামনে বাসচাপায় নিহত হন মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়। ঘটনার পর সড়ক অবরোধ করে বেশ কয়েকটি বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।
নিহত মাইনুদ্দিন ইসলাম (১৯) এ বছর একরামুন্নেছা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। তার চাচাতো ভাই মো. বাদশাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ১১টার দিকে রামপুরা ডিআইটি রোডের সোনালী ব্যাংকের সামনে অনাবিল বাসের চাপায় এক শিক্ষার্থী নিহত হয়। বাসটি উত্তরার আবদুল্লাহপুর থেকে সায়েদাবাদ যাচ্ছিল। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করে বেশ কয়েকটি বাস ভাঙচুর করে এবং অন্তত ৮টি বাসে অগ্নিসংযোগ করে।